নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
উত্তর-পূর্বের মানুষকে রাজ্যে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে দু’দিনের অসম-মণিপুর সফরে এলেন কর্নাটকের উপ- মুখ্যমন্ত্রী আর অশোক। তাঁর সঙ্গে এসেছেন রাজ্য পুলিশের ডিজি লালরোখুমা পাচুয়া। আবার পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখতে বেঙ্গালুরু, পুণে, ও মুম্বই পাড়ি দিয়েছেন মেঘালয়ের তিন মন্ত্রী। আজ নমনি অসমে ফের হিংসায় নিহত হয়েছেন ৫ জন।
অসমে গোষ্ঠী-সংঘর্ষের পরে দক্ষিণ ও পশ্চিম ভারতের কয়েকটি রাজ্যে উত্তর-পূর্বের মানুষের উপরে হামলার গুজব ছড়ায়। ফলে, আতঙ্কে ওই রাজ্যগুলি ছেড়ে পালাতে শুরু করেন অসম, মণিপুরের মতো রাজ্যগুলির বাসিন্দারা।
কর্নাটকে থাকেন উত্তর-পূর্বের সাড়ে তিন লক্ষ মানুষ। কেবল বেঙ্গালুরুতেই আছেন অন্তত আড়াই লক্ষ। উপ-মুখ্যমন্ত্রী অশোকের বক্তব্য, কখনও কোনও হিংসা বেঙ্গালুরুতে হয়নি। কেবল গুজবে বিশ্বাস করে উত্তর-পূর্বের প্রায় ৩৫ হাজার মানুষের বেঙ্গালুরু ছেড়ে পালানো অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। আজ অশোক ও পাচুয়া অসমের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ, বনমন্ত্রী রকিবুল হুসেন ও ডিজি জয়ন্তনারায়ণ চৌধুরির সঙ্গে বৈঠক করেন। কথা বলেন উত্তর-পূর্বের ছাত্র সংগঠনের সঙ্গেও।
গত ১০ দিনে অরুণাচলের সাংসদ, অসমের মন্ত্রী, মেঘালয়ের প্রতিনিধি দল, নাগাল্যান্ডের মন্ত্রীদের সঙ্গে একের পর এক বৈঠক করেছেন অশোক। সকলকে ভরসা দিয়েছেন। কর্নাটক সরকার জানিয়েছে, রাজ্যে নিরাপত্তা সুরক্ষিত করতে আরও ৩ কোম্পানি র্যাফ, ৩ কোম্পানি অতিরিক্ত আধাসেনা চেয়ে পাঠানো হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে ১৭০০০ পুলিশকর্মী।
অশোকের আশ্বাস, উত্তর-পূর্বের পালিয়ে আসা কর্মচারীরা ফিরে গেলে পুরোনো সংস্থায়, পুরোনো পদেই বহাল হবেন। একই কথা মণিপুরবাসীকে বোঝাতে আগামীকাল অশোক ও পাচুয়া ইম্ফলে যাচ্ছেন।
পরিস্থিতি দেখতে মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা রাজ্যের তথ্য ও জনসংযোগ মন্ত্রী এ টি মণ্ডল, জলসম্পদমন্ত্রী এ এল হেক ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী আমপারিন লিংডোকে বেঙ্গালুরু পাঠিয়েছেন। বেঙ্গালুরুর পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখে তাঁরা পুণে ও মুম্বই যাবেন। সোমবার মুম্বইতে মুখ্যমন্ত্রী নিজেও প্রতিনিধি দলের সঙ্গে যোগ দেবেন।
নমনি অসমের চিরাং জেলায় আজ হিংসায় ফের পাঁচ জন নিহত হয়েছেন। বিজনি এলাকায় ছুরির আঘাতে ওই পাঁচ জন নিহত হন। কোকরাঝাড়ে আজ সকাল থেকে রাত ৯টা অবধি কার্ফু শিথিল করা হয়। অধিকাংশ দোকানপাট ও বাজার খোলা ছিল। |