প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন্টর গ্রুপ থেকে ইস্তফা দিলেন অধ্যাপক সুকান্ত চৌধুরী। বৃহস্পতিবার রাতে মেন্টর গ্রুপ সদস্যদের ই-মেল করে ইস্তফাপত্রের প্রতিলিপি পাঠিয়ে দেন তিনি। মেন্টর গ্রুপের চেয়ারম্যান সুগত বসু জানান, সুকান্তবাবুর এই সিদ্ধান্ত ব্যক্তিগত। তাঁর ইস্তফা গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রেসিডেন্সিকে বিশ্বমানের প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ১০ সদস্যের মেন্টর গ্রুপ গড়েছিল রাজ্য সরকার। সুকান্তবাবু ছিলেন তার অন্যতম সদস্য। শনিবার তিনি বলেন, “কলকাতা, যাদবপুরের মতো বিশ্ববিদ্যালয়গুলি তাদের প্রাপ্য পাচ্ছে না, রাজ্যের অন্য বিশ্ববিদ্যালয়কেও উৎসাহিত করার জন্য যা দেওয়া দরকার, সেটা দেওয়া হচ্ছে না। কিন্তু প্রেসিডেন্সিকে সরকার যেন বেশিই দিচ্ছে। একটা জায়গাতেই ভাল শিক্ষক আসবেন, অন্য কোথাও আসবেন না, এটা তো ঠিক নয়।” মূলত এই ‘বৈষম্য’-র জন্যই তাঁর ইস্তফা বলে সুকান্তবাবু জানান। ইংরেজির এই অধ্যাপকের কথায়, “প্রেসিডেন্সিতে ভাল লোক আকর্ষণ করা দরকার ঠিকই। কিন্তু একটা সীমার পরে তো ওই প্রতিষ্ঠানকে কিছু জিনিস অর্জন করে নিতে হবে। যে ১৫ জন হেরিটেজ চেয়ার প্রফেসার নিযুক্ত হবেন, তাঁদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফেই অর্থ সংগ্রহ করা হবে বলে জানতাম। কিন্তু হঠাৎ জানলাম যে সেই টাকাও দেবে রাজ্য সরকার!”
সুগতবাবু এ সব নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তিনি বলেন, “সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের দায়িত্ব তো আমাদের দেওয়া হয়নি। আমরা প্রেসিডেন্সিকে বিশ্বমানের করার লক্ষ্যে এগোচ্ছি এবং এই কাজ যে আমরা ঠিক ভাবেই করছি, তা নিয়ে আমাদের কোনও সংশয় নেই।” তিনি জানান, মেন্টর গ্রুপের তৃতীয় রিপোর্ট মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পাঠানো হয়েছে। সুকান্তবাবুকে বাদ দিয়ে বাকি ন’জন সদস্য সই করেছেন ওই রিপোর্টে।
|