ওভারহেড তার ছিঁড়ে থমকে গেল দিল্লি থেকে আসা দুরন্ত এক্সপ্রেস। শনিবার দুপুরে দমদম স্টেশনের এই বিভ্রাটে দু’ঘণ্টা ধরে ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়েছে। ভুগতে হয়েছে নিত্যযাত্রীদের।
পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ জানান, এ দিন বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ দমদমের চার নম্বর প্ল্যাটফর্মের কাছে প্যান্টোগ্রাফ ভেঙে যায়। তাতেই ওভারহেড তার ছিঁড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। নয়াদিল্লি থেকে শিয়ালদহগামী দুরন্ত এক্সপ্রেস তার একটু আগেই দমদমে ঢুকেছে। গন্তব্যে পৌঁছানোর ঠিক আগে এই বিভ্রাটে সমস্যায় পড়েন যাত্রীরা। সেই সঙ্গে শিয়ালদহ-ডানকুনি ও শিয়ালদহ-বনগাঁ দু’টি লাইনে আপ ও ডাউন---দু’দিকেই ট্রেন চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। শিয়ালদহ মেন লাইনে ট্রেন চলাচলও অনিয়মিত হয়ে পড়ে। ঘণ্টা দেড়েক বাদে ডিজেল ইঞ্জিন এসে দুরন্ত এক্সপ্রেসকে শিয়ালদহ কারশেডে নিয়ে যাওয়ার পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। বনগাঁয় যাবেন বলে এ দিন দুপুরে দমদম স্টেশনে দাঁড়িয়েছিলেন ষাটোর্ধ্ব অমল কর। সওয়া ১২টায় স্টেশনে এসে দু’ঘণ্টা বাদেও ট্রেন পাননি ওই প্রবীণ। তিনি বলছিলেন, “এত মালপত্র নিয়ে বাসে যাওয়ার ধকল সইবে না। তাই কষ্ট হলেও ট্রেনে ফেরা ছাড়া আমার গতি নেই।”
|
প্যান্টোগ্রাফ ভেঙে থমকে ট্রেন। —নিজস্ব চিত্র
|
আর এক যাত্রী এস আর রজনীশের আবার ট্রেনে শিয়ালদহ হয়ে দক্ষিণ কলকাতায় যাওয়ার কথা। তাঁর সঙ্গেও প্রচুর লটবহর। কলকাতায় কর্মরত ওই দক্ষিণ ভারতীয় যুবকের কথায়, “মালপত্র নিয়ে মেট্রোয় ওঠা সম্ভব নয় বলে লোকাল ট্রেনেই ভরসা। কিন্তু শিয়ালদহে যাওয়ার ট্রেনের দেখা নেই। অনেক ক্ষণ বাদে যা-ও বা দেখা মিলল, ভিড়ের চোটে কামরায় পা রাখাই কঠিন।” ওভারহেড তার-বিভ্রাটে মেন লাইনে ট্রেন চলাচল কমে যাওয়ার পরে প্রতিটি ট্রেনেই তখন থিকথিকে ভিড়।
রেল সূত্রের খবর, শিয়ালদহ মেন লাইনের চারটি লাইনের মধ্যে দু’টি সচল থাকলেও ট্রেন চলাচল কমে যায়। বেলা দু’টোর পরে পরিস্থিতি কিছুটা ভাল হয়। কয়েকটি লোকাল (ইএমইউ) ট্রেন বাতিল হয়। জম্মু-তাওয়াই এক্সপ্রেসকে শিয়ালদহ-ডানকুনি লাইনের পরিবর্তে নৈহাটি-ব্যান্ডেল লাইন দিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন
রেল কর্তৃপক্ষ। |