ভাড়া বাড়ানোর দাবি
যাত্রী সংখ্যা কমাতে নারাজ, ধর্মঘট বিভিন্ন অটো-রুটে
যাত্রী সংখ্যা নিয়ে সরকারি নির্দেশিকা মানা দূরে থাক, উল্টে শহরের বিভিন্ন জায়গায় অটো চলাচল বন্ধ করে কার্যত সরকারকেই চ্যালেঞ্জ জানালেন চালকেরা। তাঁদের দাবি, সরকারি নির্দেশিকার জেরে তাঁদের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে। যদিও পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্রের দাবি, তাঁরা চালকদের স্বার্থেই ব্যবস্থা নিয়েছেন। আর্থিক সমস্যা মেটাতে বিকল্প পথেরও ব্যবস্থা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে তাঁর হুঁশিয়ারি, এর পরে এই ধরনের ঘটনা ঘটলে সরকার ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে।
শনিবার দিনভর সল্টলেক ও কলকাতার বিভিন্ন রুটে অটো চলাচল বন্ধ করে দেন চালকেরা। সকাল থেকেই উল্টোডাঙা স্টেশন ও হাডকো মোড় থেকে বিধাননগরের করুণাময়ী, ১৩ নম্বর ট্যাঙ্ক, ১৪ নম্বর ট্যাঙ্ক, ৮ নম্বর ট্যাঙ্ক-সহ বিভিন্ন রুটের অটো চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। করুণাময়ী থেকে পাঁচ নম্বর সেক্টর কিংবা রাজারহাটমুখী অটোও ছিল হাতে গোনা। বেলেঘাটা, ফুলবাগান থেকে বিধাননগরমুখী অটোও চোখে পড়েনি। অন্য দিকে, দমদম-নাগেরবাজার
রুটে দুপুর থেকে অটো চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। উল্টোডাঙা থেকে শোভাবাজার-সহ কলকাতার কয়েকটি রুটে অন্যান্য দিনের তুলনায় অটোর সংখ্যাও ছিল কম।
সল্টলেকে বন্ধ অটো চলাচল। হয়রান যাত্রীরা। নিজস্ব চিত্র
ধর্মঘটের জেরে এ দিন দুর্ভোগে পড়েন সল্টলেক, নিউটাউনের শিল্পতালুকের যাত্রীরা। অনেককে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়েও অফিসে যেতে হয়েছে।
আচমকা কেন অটো চলাচল বন্ধ হল? অটোচালকদের অভিযোগ, অটোতে চার জনের বেশি যাত্রী নিলেই পুলিশ জরিমানা করছে। এ ছাড়াও, নানা অজুহাতে চালকদের উপরে নির্যাতন করছে পুলিশ। যদিও পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র আগেই জানিয়েছিলেন, অটোতে চার জনের বেশি যাত্রী নেওয়া যাবে না। কিন্তু রাজ্য সরকারের সেই নির্দেশিকা মানতে নারাজ চালকেরা। অটোচালকদের একাংশের দাবি, ভাড়া না বাড়িয়ে যাত্রী সংখ্যা কমিয়ে দিলে অটোচালকরা আর্থিক দিক দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
এ বিষয়ে পরিবহণমন্ত্রী বলেন, “সরকার সংঘাত চায় না। ভর্তুকি পূরণ করতে অটোতে বিজ্ঞাপনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এমনকী, সরকার বিজ্ঞাপন এনে দিতে চিন্তাভাবনা করছে। ভাড়া না বাড়িয়ে আয় বাড়াতে চায় সরকার। কিন্তু আলোচনার পথে না গিয়ে অটো ধর্মঘট করলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে সরকার।”
মদনবাবুর যুক্তি, মোটর ভেহিকল্স অ্যাক্ট অনুসারে অটোতে তিন জনের বসার কথা, তা সত্ত্বেও অতিরিক্ত একজন যাত্রী তোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এর বেশি যাত্রী নিলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। শহরের বিভিন্ন রুটে বহু অটোই বেআইনি ভাবে চলছে বলে তাঁর দাবি।
অটোচালকদের এই আচমকা কর্মবিরতি ঘিরে রাজনৈতিক কাজিয়াও চরমে উঠেছে। বিধাননগর টাউন আইএনটিটিইউসির সাধারণ সম্পাদক সুজিত পাল বলেন, “সিটু থেকে আমাদের দলে যোগ দেওয়া চালকদের একাংশ জোর করে বনধ্ করার চেষ্টা করেছিল। আমাদের হস্তক্ষেপে অটো চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।” স্থানীয় সিটু নেতা সৌমেন চক্রবর্তীর পাল্টা দাবি, “দলমত নির্বিশেষে চালকেরা অটো চলাচল বন্ধ করেছেন। এটা নির্দিষ্ট কোনও দলের কর্মসূচি নয়।”
এর আগেও শহরে অটো ধর্মঘট হয়েছে। সেই সময় রুট বাতিলের হুমকি দিয়েছিলেন মন্ত্রী। কিন্তু এ দিনের পরেও সরকার অটোচালকদের সামনে ফের আলোচনার পথ খোলা রাখল।
 
 
 


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.