|
|
|
|
|
নিয়ম-মাফিক বেড়ানো |
বদ্ধ গাড়িতে চড়া সুগন্ধী বা ঝিনচ্যাক গান। আপনি খুশ। কিন্তু বাকিরা? জেনে নিন, বেড়ানোর সব কায়দাকেতা। |
ঘুরতে আপনি বেজায় ভালবাসেন। এক চিলতে ছুটি পেলেই পায়ের তলায় সরষে নিয়ে দে দৌড়। কিন্তু বেড়ানোর নেশায় বেমালুম ভুলে যান খুব সাধারণ কিছু ব্যাপার। ফলে মাঝেমধ্যেই সহযাত্রীর সঙ্গে তুমুল ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ে বেড়ানোর মুডটাই বরবাদ হয়ে যায়। মুড নষ্ট করতে যাবেন কেন? আপনার মাথা থেকে মুছে যাওয়া নিয়মকানুনগুলোই বরং মনে করিয়ে দেওয়া যাক।
• প্লেনে বা ট্রেনে উঠেই সিট হেলিয়ে-বার্থ উঠিয়ে টেনে একটা ঘুম। ভাবুন তো, লোয়ার বার্থের সহযাত্রীর তখনও খাওয়া হয়নি, আর আপনি তাঁকে জিগ্যেস না করেই ধাঁ করে মিড্ল বার্থ তুলে দিলেন। অমন করতে আছে কি? বরং মিষ্টি একটা হাসি ঠোঁটে ঝুলিয়ে অনুমতি চেয়ে নিন। দু-এক মিনিট নয় অপেক্ষা করলেনই। ঠিক সে রকমই, সিট হেলিয়ে বিশ্রামের আগে পিছনের যাত্রীকে সেটা জানিয়ে দিন, যাতে সেই মতো তিনি নিজেকে গুছিয়ে নিতে পারেন।
• বাস বা বদ্ধ গাড়িতে যাওয়ার আগে আপনার ভারী প্রিয় চড়া গন্ধের পারফিউমটা না-ই বা স্প্রে করলেন। পাশের সিটে বসা মানুষটির কিন্তু চড়া গন্ধের পারফিউমে অ্যালার্জি থাকতে পারে। হঠাৎ যদি অসুস্থ হয়ে পড়েন? নিজেদের ঘোরার আনন্দটাই তখন মাঠে মারা যাবে।
• ট্রেনে চড়ার আগে হাতব্যাগে যখন টিকিট ঢোকাচ্ছেন, তখন একই জায়গায় নিজের পরিচয়পত্রটিও ঢুকিয়ে নিন। টিকিট পরীক্ষার সময় পরীক্ষক পরিচয়পত্র দেখতে চাইতে পারেন। চট করে বের করে দিলে চেকারও খুশি, বাকিরাও। |
|
• ট্রেন বা প্লেনে লাগেজ লাগার জায়গা নির্দিষ্ট। কিন্তু আপনার হয়েছে খানদুয়েক ঢাউস সুটকেস, গোটা তিনেক ব্যাগ, চারটে জলের বোতল, আরও টুকিটাকি, নানা রকম। বাকিদের লটবহরের জন্য ঠাঁই নাই। তাই, হাতাহাতি এড়াতে গোছানোর সময়ই সতর্ক হন। বাড়তি জিনিস বরং বাড়িতেই থাক।
• জার্নির একঘেয়েমি কাটাতে চাই বই, ম্যাগাজিন, হ্যান্ডস ফ্রি, ল্যাপটপ। হাতের কাছেই সব মজুত রাখতে হবে। কখন কোনটা শুনতে, দেখতে মন চায়, কে জানে! কিন্তু এ দিকে আপনার অবসর বিনোদনের সরঞ্জামের ঠেলায় অন্যরা জড়সড়। জিনিসগুলো একটু সরিয়ে, গুছিয়ে রাখুন না! অন্যরাও তা হলে একটু হাত-পা ছড়িয়ে যেতে পারে। আর অবশ্যই, ভলিউম-এর দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। |
|
|
|
|
|