জলপাইগুড়ি স্পোর্টস কমপ্লেক্সের এলাকা সম্প্রসারিত হতে চলেছে। দীর্ঘদিনের অর্ধনির্মিত চেহারা বদলে নতুন ভাবে সাজতে চলেছে ওই কমপ্লেক্স। বর্তমান স্টেডিয়াম চত্বর লাগোয়া ১৬ একর জমিতে তৈরি হতে চলেছে নতুন একটি ইনডোর স্টেডিয়াম। তাতে ১১টি খেলার জায়গা থাকবে। পুরুষ এবং মহিলা খেলোয়াড়দের জন্য পৃথক হস্টেলের ব্যবস্থা থাকবে। যাতায়াতের জন্য করলা নদীর ওপরে তৈরি হবে দুটি সেতু।
স্পোর্টস কমপ্লেক্সের মাস্টার প্ল্যান তৈরি করেছে দিল্লির একটি বহুজাতিক নির্মাণ সংস্থা। শুক্রবার কমপ্লেক্সের মাস্টার প্ল্যান নিয়ে জেলাশাসক স্মারকি মহাপাত্রের সঙ্গে বৈঠক করেছেন সংস্থার এক কর্তা। জানা গিয়েছে, বর্তমানের অর্ধনির্মিত স্টেডিয়ামের কাজ শেষ করা-সহ পুরো পরিকল্পনা রূপায়ণে খরচ হবে প্রায় ২২ কোটি টাকা। যার মধ্যে ইনডোর স্টেডিয়াম তৈরিতে খরচ হবে প্রায় ১২ কোটি। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রক থেকেই এই টাকা বরাদ্দ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। ইনডোর স্টেডিয়াম তৈরির জন্য ১৬ একর জায়গা প্রয়োজন হবে তা ইতিমধ্যেই চিহ্নিত হয়েছে। বর্তমান স্টেডিয়াম চত্বর লাগোয়া করলা নদীর অন্য পাড়ে তৈরি হবে ইনডোর স্টেডিয়াম। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জমিটি ইতিমধ্যেই সরকারের হাতেই রয়েছে। ফলে নতুন করে জমি অধিগ্রহণের জটিলতা তৈরি হওয়ার আশঙ্কা নেই। ইনডোর স্টেডিয়াম এবং বর্তমান স্টেডিয়াম নিয়েই নতুন চেহারায় গড়ে উঠবে স্পোর্টস কমপ্লেক্স। জলপাইগুড়ি জেলাশাসক স্মারকি মহাপাত্র বলেন, “স্পোর্টস কমপ্লেক্সের মাস্টার প্ল্যান তৈরির দায়িত্বে থাকা পেশাদারি সংস্থার প্রতিনিধিরা এদিন পরিকল্পনাটি দেখিয়েছেন। নতুন একটি ইনডোর স্টেডিয়াম তৈরি হতে চলেছে। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরই কাজটি করছে। ‘ডিজাইন আকশন গ্রুপ’ নামে দিল্লির পেশাদারি সংস্থা যে মাস্টার প্ল্যান তৈরি করেছে তাতে ইনডোর স্টেডিয়ামে ভলিবল, বাস্কেট বল, জিমনাশিয়াম, ক্যারাম, দাবা, যোগব্যায়াম এবং টেনিস খেলার জায়গা থাকবে। এ ছাড়া দুটি করে ব্যাডমিন্টন কোর্ট এবং আটটি টেবিল টেনিস খেলার জায়গা থাকবে। স্কোয়াশ খেলার দুটি কোর্টও তৈরি হবে স্টেডিয়ামে। সুইমিং পুল যেমন থাকবে তেমনিই নিয়মিত খেলোয়াড় ছাড়াও সাধারণ বাসিন্দাদের জন্য বিভিন্ন খেলার ব্যবস্থা থাকবে কমপ্লেক্সে। সংস্থার প্রতিনিধি প্রেমেন্দ্ররাজ মেহেতা বলেন, “অত্যাধুনিক নকশায় মাস্টার প্ল্যান তৈরি করা হয়েছে। বিভিন্ন ইনডোর খেলা ছাড়াও একটি অনুশীলন কক্ষ থাকবে যেখানে সাধারণ বাসিন্দারা সবসময়ে কিছু না কিছু খেলার সুযোগ পাবেন।” এসজেডিএর সদস্য চন্দন ভৌমিকও এদিন পরিকল্পনাটি দেখেন। তিনি বলেন, “উত্তরঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী নিজে স্পোর্টস কমপ্লেক্সের বিষয়টি দেখাশোনা করছেন। কমপ্লেক্সের জন্য অর্থ বরাদ্দে তিনিই উদ্যোগী হয়েছেন। এদিন মাস্টার প্ল্যান দেখে বোঝা গেল খুব শীঘ্রই জলপাইগুড়িবাসী একটি ঝকঝকে আধুনিক স্পোর্টস কমপ্লেক্স পেতে চলেছে।” |