ওডাফা কবে মাঠে নামবেন জানা নেই। তাঁর প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী র্যান্টি মাঠে নেমে পড়লেন। আর কলকাতায় আবির্ভাবেই দু’গোল করে বুঝিয়ে দিলেন তারকাদের কাছে নতুন পরিবেশ বলে কিছু হয় না।
তবে র্যান্টির নয়, শুক্রবার যুবভারতীতে প্রয়াগ ইউনাইটেডের নতুন মরসুমের প্রথম গোল কার্লোস হার্নান্ডেজের। কোস্টা রিকার হয়ে যিনি অলিম্পিক এবং বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে খেলেছেন। প্রয়াগে যোগ দিয়েছেন সবার শেষে। গোলটা করলেন সবার আগে। কলকাতার মাঠে কাটানো প্রথম ৭১ মিনিটে অবশ্য বিশ্বমানের ‘টাচ’ সে ভাবে নজরে পড়ল না। তবে হাফটাইমের বাঁশি বাজার ঠিক আগে ২২ গজের সোয়ার্ভিং শটের যে গোলটা তিনি করলেন সেটা নিঃসন্দেহে বিশ্বমানের।
আই লিগ শুরু হওয়ার পর দু’বার, জাতীয় লিগ থাকাকালীন দু’বার চারবার সর্বোচ্চ গোলদাতা ছিলেন র্যান্টি। শুক্রবারের ম্যাচে যে তিনি একশো শতাংশ ফিট হয়ে নামেননি, স্বীকারও করে নিলেন। তা সত্ত্বেও পুরো নব্বই মিনিট খেলে দু’টো অসাধারণ গোল করলেন। গৌরাঙ্গ বিশ্বাসের বাঁ দিক থেকে আসা সেন্টারে শূন্যে লাফিয়ে হেডে প্রথম গোল। পরের গোলটা এল কার্লোসের পাস থেকে নিখুঁত ব্যাক-ফ্লিকে। শেষ দিকে ধনচন্দ্র সিংহ হাতে বল লাগিয়ে পেনাল্টি উপহার দেন বিএনআরকে। ব্যবধান কমান জোয়েল।
প্রয়াগ কোচ সঞ্জয় সেন অবশ্য একে ‘র্যান্টি-কার্লোস যুগলবন্দি’ বলতে নারাজ। তাঁর কথায়, “কার্লোস ফরোয়ার্ড নয়। ও আদর্শ অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার। একটু পিছিয়ে খেলতেই বেশি স্বচ্ছন্দ।” তবে তাদের বোঝাপড়া যে বিপক্ষের ডিফেন্সে ভয় ধরাবে, তার আশা দেখছেন কোচ থেকে ক্লাবকর্তারা। র্যান্টি বলছেন, “কার্লোসের সঙ্গে ঠিকঠাক বোঝাপড়া তৈরি হতে কিছুটা সময় লাগবে। নতুন টিম, পরিবেশ বেশ উপভোগ করছি।” কার্লোস প্রশংসা করলেন নাইজেরীয় সতীর্থের, “র্যান্টি অসাধারণ ফুটবলার। ওর সঙ্গে খেলার অভিজ্ঞতা দারুণ।” |