জরুরি গোলটেবিল বৈঠক চলছে গোলপোস্টের পিছনে। ঘোর চিন্তায় ডুবে ইস্টবেঙ্গলের তিন বিদেশি ফুটবলার ওপারা, পেন, চিডি! যুবভারতীর আর এক কোণে নওবা, ভাসুম, খাবরাদের জটলা। ইস্টবেঙ্গলের নাইজিরিয়ান ত্রিমূর্তির মতো তাঁরাও ব্যস্ত জরুরি আলোচনায়। চোখে-মুখে চিন্তার ছাপ, ফুটে উঠছে অদৃশ্য অস্থিরতাও। শুক্রবার সকালের গুমোট আবহাওয়ার মতোই যেন একটা দমবন্ধ করা পরিবেশ সারাক্ষণ ঘুরঘুর করছিল ইস্টবেঙ্গল অনুশীলনে!
ফুটবলারদের আলোচনার মূল বিষয় কী, সেই রহস্য অনুশীলনের পরে ফাঁস করলেন ট্রেভর মর্গ্যান নিজেই। গতবারের কলকাতা প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন ইস্টবেঙ্গল এ মরসুমে এমন দল তৈরি করেছে, যেখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মান আরও বেড়ে গিয়েছে। স্বয়ং কোচও দ্বিধায়, প্রথম দলে কাকে ছেড়ে কাকে খেলাবেন। তাই দলের প্রত্যেক ফুটবলারকে নাকি বলে দেওয়া হয়েছে, “নাম নয়। প্রতিভার জোরে দলে জায়গা করে নিতে হবে।” আর এখানেই কপালে ভাঁজ পড়তে শুরু করে দিয়েছে ফুটবলারদের।
এই কারণে শনিবার কালীঘাট মিলন সঙ্ঘের বিরুদ্ধেও প্রথম দল গড়তে পারছেন না মর্গ্যান। পরিস্থিতি এতটাই জটিল যে, পারলে দুটো একাদশ খেলান লাল-হলুদ কোচ। শুরুতে চিডি আর ওপারা খেললেও, ক্লাবের বর্ষসেরা ফুটবলার পেনের জায়গা হচ্ছে না। তাঁর বদলে লোবো। মর্গ্যান বললেন, “এত দিন মাঝমাঠে পেনের সমস্যা হলে গোটা দল ভুগত। এখন মনে হচ্ছে আর সেই সমস্যায় পড়তে হবে না। পুরোনোদের ঠেলে আরও তরুণ ইস্টবেঙ্গলে জায়গা করে নিতে শুরু করেছেন। লালরিন্দিকা কিংবা মননদীরা মর্গ্যানের ‘সমস্যা’ যে আরও বাড়িয়ে তুলবেন, সন্দেহ নেই। হয়তো সে জন্যই তিনি বললেন, “বত্রিশজনকেই তো খেলাতে পারব না। যারা সুযোগ পাবে না, তাদের খুশি রাখাই এখন আমার প্রধান কাজ।” জাতীয় দলের ছয় ফুটবলার এখনও যোগ দেননি। মেহতাব, সঞ্জু, রবিন, গুরবিন্দর, রাজু গায়কোয়াড়রা ফিরলে যে কী হয়, সেটাই দেখার।
|
শনিবারে কলকাতা প্রিমিয়ার লিগ |
ইস্টবেঙ্গল : কালীঘাট মিলন সঙ্ঘ (যুবভারতী, ২-৪৫) |