আরামবাগে সিপিএমের সভার বিষয়ে হুগলির জেলাশাসক শ্রীপ্রিয়া রঙ্গরাজনকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার নির্দেশ দিলেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়। কোন পরিস্থিতিতে আরামবাগে সিপিএমকে কর্মিসভা করতে দেওয়া যাবে না, তার ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। আরামবাগের রবীন্দ্রভবনে ৯ সেপ্টেম্বর রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের কর্মিসভা করার কথা ছিল। কিন্তু, আরামবাগের আইসি সুকোমল দাস সেখানকার পরিস্থিতি ওই সভা করার ‘অনুকূল’ নয় বলে রিপোর্ট দেন মহকুমাশাসককে (আরামবাগ)। এর পরে জেলা প্রশাসন আইনশৃঙ্খলার যুক্তি দেখিয়ে ওই সভা করার অনুমতি দেয়নি। বৃহস্পতিবার মহাকরণে এ ব্যাপারে হুগলি জেলা সিপিএমের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। এর পরেই এ দিন জেলা প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট চায় মহাকরণ। হুগলির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) তথাগত বসুও এ দিন আরামবাগে যান বিষয়টির তদন্তে। হুগলির পুলিশ সুপার তন্ময় রায়চৌধুরী বলেন, “বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। সেই তদন্তের রিপোর্টের প্রেক্ষিতেই ওই সভার বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে।”
|
হুগলি জেলা কংগ্রেস সভাপতি দিলীপ নাথ-সহ ৩২ জন কংগ্রেস নেতা কর্মী শর্তসাপেক্ষ জামিন পেলেন চুঁচুড়া
|
দিলীপ নাথ।
ছবি: তাপস ঘোষ। |
জেলা আদালত থেকে। শুক্রবার জেলা জজ চন্দ্রকলা মুখোপাধ্যায়ের এজলাসে তোলা হলে সকলকে জামিন দেওয়া হয়। প্রত্যেককে ৩০০০ টাকা করে দিতে হবে এবং তদন্তকারী অফিসার ডাকলে হাজিরা হতে হবে বলে নির্দেশ দেন বিচারক। গত ১৪ আগস্ট রাতে ব্যান্ডেলে কংগ্রেস নেতা দিলীপ পাসোয়ান খুন হয়েছিলেন। খুনিদের গ্রেফতারের দাবিতে পর দিন ৫ ঘণ্টা জিটি রোডের ব্যান্ডেল মোড়ে স্থানীয় বাসিন্দারা এবং কংগ্রেসের কিছু সমর্থক রাস্তা অবরোধ করেন। পুলিশকে লক্ষ করে ইট ছোড়া এবং পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগানোর অভিযোগে পুলিশ জেলা কংগ্রেসের সভাপতি দিলীপ নাথ-সহ ৩২ জন কংগ্রেস কর্মী গ্রেফতার হয়েছিলেন। আন্দোলনকারীদের ইটের আঘাতে আহত হয়েছিলেন পুলিশের পদস্থকর্তা-সহ বেশ কয়েক জন পুলিশকর্মী। কংগ্রেস নেতা আবদুল মান্নান বলেন,“ জেলা কংগ্রেস সভাপতি দিলীপ নাথকে জেলা পুলিশ আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগে বিনা প্ররোচনায় গ্রেফতার করেছিল। তারা ভেবেছিল দিলীপকে জেলে আটকে সিঙ্গুর অভিযান স্তব্ধ হয়ে যাবে। আমাদের দলের এক সদস্য খুন হবার পর দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়েছিল। বিনা প্ররোচনায় পুলিশ লাঠিচার্জ করে।”
|
তাদের নেতা-কর্মীদের ‘মিথ্যা’ অভিযোগে পুলিশি হেনস্থার প্রতিবাদে শুক্রবার রাজ্যের বিভিন্ন থানায় বিক্ষোভ দেখাল কংগ্রেস। মূলত হুগলি জেলা কংগ্রেস সভাপতি দিলীপ নাথ-সহ ৩২ জন দলীয় কর্মীকে গ্রেফতারের প্রতিবাদেই এ দিন বিক্ষোভ কর্মসূচি ছিল। ঘটনাচক্রে এ দিনই চুঁচুড়া জেলা আদালতের বিচারক চন্দ্রকলা মুখোপাধ্যায়ের এজলাসে দিলীপবাবুদের জামিন দেওয়া হয়। ১৫ অগস্ট ব্যান্ডেলে দলীয় নেতা দিলীপ পাসোয়ানের খুনের ঘটনায় পুলিশের সঙ্গে উত্তেজিত কংগ্রেস সমর্থকদের খণ্ডযুদ্ধ হয়। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, দিলীপবাবুরা পরিস্থিতি সামলাতে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁদেরই পুলিশ গ্রেফতার করে। এ দিন প্রদেশ কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান বলেন, “কংগ্রেস কর্মীদের মিথ্যা মামলায় জড়ানো হচ্ছে।” তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, “এই ভাবে সাধারণ মানুষের উপর নির্যাতন ও হেনস্থা যদি বন্ধ না হয়, কংগ্রেস বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে।”
|
শুক্রবার সকালে আরামবাগের সালেপুর জেলেপাড়ায় কর্মরত অবস্থায় এক অঙ্গনওয়াড়ি সহায়িকার মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ জানায়, মৃতার নাম রেখা রায় (৫২)। শিশু ও প্রসূতিদের জন্য রান্নার কাজ করার সময়ে হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, উচ্চ রক্তচাপজনিত অসুখে ভুগছিলেন তিনি। দেহ ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে।
|
আরামবাগের মলয়পুরে পশ্চিমবঙ্গ গ্রামীণ ব্যাঙ্কের শাখায় প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা চুরির ঘটনায় তদন্তে এল সিআইডি-র বিশেষজ্ঞ দল। পৃথক ভাবে এসেছিলেন হুগলির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তথাগত বসুও। সিআইডি-র দলটি ফিঙ্গার প্রিন্ট সংগ্রহ করেছে। চুরি হয়েছিল বুধবার রাতে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, মলয়পুর ১ এবং ২ পঞ্চায়েতের বিভিন্ন উন্নয়ন খাতের টাকা গত শনিবার থেকে পড়েছিল ব্যাঙ্কে। তা নিয়ে কোনও গোপনীয়তা রক্ষা করা হয়নি। ব্যাঙ্কে বেশি টাকা থাকলে থানায় জানানোর কথা, যাতে পুলিশ বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে পারে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তা মানা হয়নি। ব্যাঙ্ক থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে পুলিশ ফাঁড়ি থাকা সত্ত্বেও কী ভাবে এমন ঘটনা ঘটল, তা নিয়েও নানা মহলে প্রশ্ন উঠেছে। তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন তথাগতবাবু।
|
ঘুড়ি ওড়ানোর সময়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল কিশোরের। শুক্রবার, লিলুয়ার পটুয়াপাড়ায়। মৃতের নাম গোবিন্দ সাউ (১৭)। পুলিশ জানায়, একটি বাড়ির ছাদ থেকে ঘুড়ি ওড়ানোর সময়ে পাশের হাইটেনশন তারে আটকে যাওয়া ঘুড়ি পাড়তে গিয়ে ওই কিশোর বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। |