সিঙ্গুর মামলা নিয়ে রাজ্য সরকারের আবেদন গ্রহণ করল সুপ্রিম কোর্ট। সব পক্ষকেই চার সপ্তাহের মধ্যে অতিরিক্ত নথিপত্র পেশ করার নির্দেশ দিয়েছে তারা।
গত ২২ জুন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি পিনাকীচন্দ্র ঘোষ এবং বিচারপতি মৃণালকান্তি চৌধুরীর ডিভিশন বেঞ্চ অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশে সিঙ্গুরের জমি বিষয়ক আইনকে অবৈধ এবং অসাংবিধানিক বলে রায় দিয়েছিল। সিঙ্গুরের জমি হস্তান্তর করা যাবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছিল তারা। সেই রায়কে সর্বোচ্চ আদালতে চ্যালেঞ্জ করে স্পেশ্যাল লিভ পিটিশন দাখিল করা হয়েছিল রাজ্য সরকারের তরফে।
এ দিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এইচ এল দাত্তু এবং চন্দ্রমৌলি কুমার প্রসাদের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি শুনানির জন্য ওঠে। ওই মামলায় রাজ্য সরকারের অন্যতম আইনজীবী রাজা চট্টোপাধ্যায় জানান, মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কলকাতা হাইকোর্টের অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ বলবৎ থাকবে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বলেছেন, “সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টের রায়ের উপরে স্থগিতাদেশ দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, সিঙ্গুর আইন বৈধ। হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ সিঙ্গুর আইনকে বৈধ বলেছিল। ডিভিশন বেঞ্চ সেটাকে অবৈধ বলে। সুপ্রিম কোর্ট আবার সেটাকে বৈধ বলল।”
রাজ্য সরকার এ বার অনিচ্ছুক কৃষকদের জমি বিলি করবে কি না, সে ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “জমি ফেরত দেওয়াটা প্রশাসনিক ব্যাপার। এগুলো সাংবাদিকদের বলব না।” রাজ্যপাল এম কে নারায়ণন বলেছেন, “সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে স্বাগত জানাচ্ছি। এ ছাড়া কী-ই বা বলতে পারি।”
এ দিনের সুপ্রিম কোর্টের মামলা নিয়ে ফেসবুকেও মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, “সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশে আমি খুব খুশি। এটা গরিব জমিহারাদের দীর্ঘ সংগ্রামের জয়। এই জয় আমার ২৬ দিনের অনশনেরও। আমি বিশ্বাস করি শোষিত, গরিব, জমিহারা মানুষ সুবিচার পাবেন। তাদের মুখে হাসি ফুটলে আমি সবচেয়ে বেশি খুশি হব।” |