|
|
|
|
ব্রিটিশ দলকে ‘নেত্রী-মাহাত্ম্য’ বোঝালেন ডেরেক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
সর্বভারতীয় রাজনীতিতে কি নেত্রীর অভাব!
উপলক্ষ ছিল সংসদীয় রীতিনীতি নিয়ে ব্রিটেন ও ভারতের মত বিনিময়। সব চলছিল ছন্দ মেনেই। কিন্তু তারই মধ্যে ব্রিটিশ প্রতিনিধিদের এই প্রশ্নে কিছুটা অস্বস্তিতে পড়ে যান ভারতীয় সাংসদরা। মহিলা সংরক্ষণ বিলটি চলতি অধিবেশনের তালিকায় রয়েছে বটে, কিন্তু তা পাশ হওয়ার সম্ভাবনা দূর অস্ৎ। তারই মধ্যে এই প্রশ্ন!
শেষমেশ হাল ধরেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। দলনেত্রীর উদাহরণ টেনে বলেন, “এই প্রতিনিধিদলে কোনও মহিলাকে দেখতে না পেয়ে এই ধারণা করবেন না। বরং উল্টোটাই। ভারতের রাজনীতিতে নেত্রীরা ভীষণ সক্রিয়। তা না হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কার্যত একক কৃতিত্বে পশ্চিমবঙ্গে ৩৪ বছরের বাম শাসনের অবসান করতে পারেন!” এর পর বিজেপির রবিশঙ্কর প্রসাদ যোগ করেন, “লোকসভার বিরোধী দলনেতা, ইউপিএ-র সভানেত্রী, লোকসভার স্পিকার সকলেই মহিলা।” শুনে আশ্বস্ত হয় ব্রিটিশ দলটি।
ভারতের সংসদীয় ব্যবস্থা সম্পর্কে জানতে গত ২১ অগস্ট ‘কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশন’-এর চেয়ারম্যান তথা ব্রিটিশ এমপি অ্যালান হ্যাসেলহার্স্টের নেতৃত্বে ১১ সদস্যের একটি দল ভারতে এসেছে। গত বুধবার সংসদ ভবন ঘুরে দেখেন তাঁরা। স্পিকার, লোকসভার বিরোধী দলনেতার সঙ্গে তাঁদের বৈঠকের পর ছিল ওই আলোচনাচক্র। সেখানেই ভারতীয় দলে কোনও মহিলাকে না দেখে ওই প্রশ্ন তোলেন অতিথিরা। বৈঠকে উপস্থিত এক সাংসদ বলেন, “মমতার নাম আসার পরেই শুরু হয় পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে আলোচনা। পালাবদলের পরে পশ্চিমবঙ্গ সম্পর্কে ভীষণ আগ্রহ রয়েছে ব্রিটিশ এমপি-দের।” তাঁরা জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে ব্রিটেন আন্তরিক। শিল্প-সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে একটি ব্রিটিশ বণিকদল শীঘ্রই কলকাতা যাবে।
প্রসঙ্গত, মাস দুয়েক আগে মমতার সঙ্গে ব্রিটিশ হাইকমিশনার জেমস বেভানের বৈঠকেই লগ্নির প্রসঙ্গ উঠেছিল। তারই পরবর্তী ধাপ হিসেবে ব্রিটিশ দলটির আসার কথা। এর পর রাজ্যের একটি দলও লন্ডন যেতে পারে। ইতিমধ্যে কলকাতাকে ‘লন্ডন বানানোর’ পরিকল্পনা নিয়েছেন মমতা। বৈঠকে তা নিয়েও ডেরেকের কাছে আগ্রহ প্রকাশ করেন বিদেশিরা। |
|
|
|
|
|