আসছেন কর্নাটকের মন্ত্রী, ডিজি
বড়ো বিধায়ক গ্রেফতারের পরেও জোট ভাঙবে না দল
ংঘর্ষে ইন্ধন দেওয়ার দায়ে দলের বিধায়ক গ্রেফতার হলেও রাজ্যে কংগ্রেসের সঙ্গে গাঁটছড়া ছিন্ন করার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিলেন বড়োল্যান্ড প্রগ্রেসিভ ফ্রন্ট (বিপিএফ)-এর প্রধান হাগ্রামা মহিলারি। কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁদের কোনো ভুল বোঝাবুঝি নেই বলে দাবি করেছেন তিনি। উত্তর-পূর্বের বাসিন্দাদের আশ্বস্ত করতে কর্নাটকের উপ-মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্য পুলিশের ডিজি আগামিকাল অসম ও মণিপুর সফরে আসছেন।
কিছু বাড়িতে আগুন লাগানোয় নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগে গত কাল রাতে পশ্চিম কোকরাঝাড়ের বিধায়ক প্রদীপ ব্রহ্মকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার প্রতিবাদে দলের কর্মীরা দীর্ঘক্ষণ ট্রেন অবরোধ করেন। গত কাল থেকেই কোকরাঝাড়ে বন্ধ চলছে। আজও জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে প্রাক্তন কৃষিমন্ত্রী তথা বিপিএফ নেত্রী প্রমীলারানি ব্রহ্ম গত কাল সরকারের সঙ্গে জোট ভাঙার কথা জানিয়েছিলেন। কিন্তু আজ হাগ্রামা সাফ বলেন, “কংগ্রেসের সঙ্গে বিপিএফের কোনও ভুল বোঝাবুঝি নেই। এক জন বিধায়ক গ্রেফতার হওয়াতে জোট ভাঙার প্রশ্নই ওঠে না।” তাঁর দাবি বড়ো ও সংখ্যালঘুদের মধ্যে কোনও সংঘর্ষ হচ্ছে না। যা হয়েছে তা ভূমিপুত্র বনাম অনুপ্রবেশকারী লড়াই। বদরুদ্দিন আজমলের মতো নেতারা তাতে ধর্মীয় রং চাপাচ্ছেন। ২৬ অগস্ট বিপিএফ-এর পাঁচ প্রতিনিধি দিল্লি গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে বৈঠক করবেন বলে জানান তিনি। এ দিকে, জেলে থাকা প্রদীপ ব্রহ্ম আজ জানান তাঁর বুকে ব্যথা হচ্ছে। তিনি মধুমেহ ও উচ্চ রক্তচাপের রোগী। ডাক্তারি পরীক্ষার পরে আদালতের নির্দেশে তাঁকে রূপনাথ ব্রহ্ম সিভিল হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিনিধি তথা পুনর্বাসন কমিটির প্রধান ভূমিধর বর্মন আজ চিরাং ও বঙ্গাইগাঁও সফর করেন। পরে তিনি জানান, মানুষ ঘরে ফিরতে চাইছে, কিন্তু যাঁদের ঘর পুড়েছে তাঁদের নিয়ে সমস্যা। নতুন ঘর তৈরি না হওয়া পর্যন্ত গ্রামের পাশেই তাঁদের জন্য নতুন শিবিরের ব্যবস্থা করতে হবে। সেখানে থেকেই তাঁরা চাষবাস করবেন, বাড়ি নির্মাণের কাজ তদারক করবেন। সরকারি হিসেবে, ধুবুরির ১৩৩টি শিবিরে সবচেয়ে বেশি ১,৪৬,২১৪ জন শরণার্থী রয়েছেন। কোকরাঝাড়ে ৫০,২০৩ জন, চিরাঙে ৩৯,১৬৩ জন এবং বঙ্গাইগাঁওয়ে ১১,৯৭০ জন আছেন। বর্মন জানান, যাঁদের বাড়ি পুরোপুরি ভেঙে বা পুড়ে গিয়েছে, তাঁরা ১ লক্ষ ১ হাজার ২০০ টাকা করে পাবেন। যাঁদের আংশিক ক্ষতি হয়েছে, তাঁরা পাবেন ৪০ হাজার টাকা করে। জেলাশাসকদের বলা হয়েছে, যত শীঘ্র সম্ভব দুর্গতদের হাতে এই টাকা পৌঁছে দিতে। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা ইতিমধ্যেই ভেঙে যাওয়া বাড়িগুলি পুনর্নির্মাণের পরামর্শ দিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে জেলা প্রশাসন দক্ষ নির্মাণসংস্থাগুলির সঙ্গে যোগাযোগ করছে, যারা ন্যায্য মূল্যে দ্রুত অনেক বাড়ি বানাতে সক্ষম।
দিন কয়েক আগে পর্যন্তও এসএমএসে ছড়ানো গুজবের জেরে মূলত দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলি থেকে উত্তর-পূর্বের বাসিন্দাদের ঘরে ফেরার হিড়িক পড়েছিল। তাঁদের আস্থা অর্জনের লক্ষ্যে আগামিকাল অসম ও মণিপুরে আসছেন কর্নাটকের উপ-মুখ্যমন্ত্রী আর অশোক এবং ডিজি লালরোখুমা পাচুয়া। মহারাষ্ট্র সরকার ইতিমধ্যেই জানিয়েছে, ফিরতে চাওয়া ছাত্রছাত্রীদের জন্য তারা বিশেষ বিমান ও কম দামে বিমানের টিকিটের ব্যবস্থা করছে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.