|
|
|
|
নতুন দল না গড়ে ‘অধিগ্রহণ’ সাংমার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
শেষ অবধি নতুন দল গড়ার ঝামেলায় না গিয়ে মণিপুরের ন্যাশনাল পিপল্স পার্টি-কেই (এনপিপি) কার্যত ‘অধিগ্রহণ’ করলেন পূর্ণ অ্যাজিটেক সাংমা। একদা কংগ্রেসী, প্রাক্তন তৃণমূলী, এনসিপি দলের প্রতিষ্ঠাতা পূর্ণ সাংমার চতুর্থ ইনিংস আজ শিলং-এ শুরু হল। দল ভাঙায় দড় পূর্ণ সাংমা প্রথম দিনেই রাজ্য এনসিপির ১২ জন বিধায়ককে দলে টানলেন।
আজ ডেপুটি স্পিকার সানবর সুলে ও অ্যাডল্ফ লু হিটলার বাদে বাকি এনসিপি বিধায়করা দল থেকে ইস্তফা দিয়ে এনপিপিতে যোগ দিলেন। তবে কেন্দ্রে মন্ত্রীত্ব বাঁচাতে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী, সাংমা-কন্যা আগাথা বাবার দলে এখনই যোগ দিচ্ছেন না। পরবর্তী লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে তিনি এনপিপিতে যোগ দিতে পারেন বলে দলীয় সূত্রে খবর। রাজ্যসভায় রাজ্যের একমাত্র সদস্য টমাস সাংমাও এনসিপিতেই রয়ে গেলেন। এনপিপি দলের প্রতীক ‘বই’। তাই রাজ্যজুড়ে এনসিপির দখলে থাকা সব দেওয়ালে গত দু’দিন ধরেই ‘ঘড়ি’ মুছে বই আঁকার কাজ চলেছে। আজ ‘বই পার্টি’তে যোগ দিয়ে পূর্ণ ঘোষণা করেন, উত্তর-পূর্বের সব রাজ্য তো বটেই, এরপর গুজরাতেও এনসিপি সদস্যদের এনপিপিতে আনার কাজ শুরু করা হবে। মূলত উপজাতি কেন্দ্রীক দল হিসেবেই কাজ করবে এনপিপি।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে এনসিপি ছেড়েছিলেন পূর্ণ। নির্বাচনে হারার পরে ঘোষণা করেছিলেন, নতুন দল গড়বেন। তা না করে মণিপুরের অখ্যাত দলে যোগ দিলেন কেন? নিজস্ব ঢঙে, হাসতে হাসতেই পূর্ণ বলেন, “নতুন দল গড়া, তার নথিভুক্তিকরণ, প্রতীক পাওয়ায় ঢের দেরি হত। নির্বাচন আসছে। হাতে অত সময় কোথায়? তাই সম-মনস্ক এনপিপিকেই আপন করে নিলাম।” দলের সভাপতি ভি হানখানলিয়ান জানান, দলীয় সংবিধানে বদল ঘটিয়ে এনপিপিকে দিল্লি ভিত্তিক দল হিসেবে তৈরি করা হবে।
২০১৩ সালের গোড়াতেই মেঘালয়ের বিধানসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যে বর্তমান বিধায়ক-সহ ২০ জন প্রার্থীর নামও ঘোষণা করে দিয়েছে এনসিপি। এই অবস্থায় এনসিপি-র ১২ জন বিধায়ককে এক ধাক্কায় দলে টেনে মেঘালয় নির্বাচনে এনসিপিকে কার্যত ক্ষমতাহীন করে দিলেন পূর্ণ সাংমা। রাষ্ট্রপতি হওয়ার দৌড়ে রাজ্যের শাসকজোটের শরিক ইউডিপিকে সঙ্গে পেয়েছিলেন পূর্ণ। ৬০ সদস্যের বিধানসভায় এনসিপির ১৪ জন বিধায়ক ছিল। |
|
|
|
|
|