নিউ টাউনে ৯০ কাঠা জমির নিলামে সর্বোচ্চ দরদাতা সংস্থাকে নির্বাচন করার পরেও তাদের আবেদন খারিজ করে দেয় হিডকো। তার পরে ওই সংস্থা কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করে। বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত জানান, প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে, আবেদনকারী সংস্থার প্রতি অন্যায় করা হয়েছে। তাই মামলা শেষ না-হওয়া পর্যন্ত হিডকো ওই জমি আবার নিলাম বা বিক্রি করতে পারবে না। বিচারপতি বলেন, “জমির দরপত্র খারিজ করার পক্ষে হিডকো যে-যুক্তি দেখিয়েছে, তা সঙ্গত মনে হচ্ছে না।”
নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পরে ২০১১-র ডিসেম্বরে ১৫টি প্লট নিলামের জন্য দরপত্র আহ্বান করে হিডকো। একটি সংস্থা প্রশিক্ষণমূলক প্রতিষ্ঠানের জন্য নির্ধারিত ৯০ কাঠা জমির দরপত্র জমা দেয়। দর দেয় প্রায় সাত কোটি টাকা। ১৬ জানুয়ারি দরপত্র খুলে দেখা যায়, প্রশিক্ষণমূলক প্রতিষ্ঠানের জন্য দু’টি দরপত্র জমা পড়েছে।
ওই দু’টি দরপত্রের মধ্যে দরের তফাত প্রায় তিন কোটি টাকা। স্বভাবতই সর্বোচ্চ দর দেওয়া সংস্থাকে ৩১ জানুয়ারি নির্বাচন করা হয়। সেই অনুযায়ী ওই দরদাতা সংস্থা ১৮ লক্ষ টাকা জমাও দেয়। কিন্তু ৪ মার্চ ওই সংস্থাকে দরপত্র খারিজ করা হয়েছে বলে চিঠি দিয়ে জানায় হিডকো। বলা হয়, সংস্থা যেন ১৮ লক্ষ টাকা ফেরত নেয়। তার পরেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় ওই সংস্থা।
রাজ্য সরকারের পক্ষে দাঁড়ান অ্যাডভোকেট জেনারেল অনিন্দ্য মিত্র। তিনি বলেন, “রাজ্যের নগরোন্নয়ন দফতর প্রতিটি জমির জন্য একটি দর ঠিক করে বন্ধ খামে লিখে রেখে দেয়। এ ক্ষেত্রে সেই দরের সঙ্গে দরপত্রের দর না-মেলায় তা খারিজ হয়ে যায়। সংস্থার পক্ষে আইনজীবী শক্তিনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, “দরপত্রে কোথাও নগরোন্নয়ন দফতরের কোনও নির্দিষ্ট দরের উল্লেখ ছিল না। সর্বোচ্চ দরদাতাকে নির্বাচন করা হবে বলেই জানানো হয়েছিল। যিনি দরপত্র জমা দিয়েছেন, তিনি কী ভাবে জানবেন, রাজ্য সরকার কী দর ভেবে রেখেছে! ঘটনা পরম্পরায় মনে হচ্ছে, এ ভাবে দরপত্র খারিজ করার পিছনে অন্য কাহিনি আছে।” উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে বিচারপতি মামলা শেষ হওয়ার আগে ওই জমির বিক্রি বা আবার নিলাম স্থগিত করে দেন। |