বুধবারের পরে শুক্রবার। দু’দিনের মধ্যেই ফের বাস দুর্ঘটনা গর্তে ভরা বাসন্তী হাইওয়েতে। এ দিন বিকেল সওয়া পাঁচটা নাগাদ একটি টাটা সুমো ও বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত্যু হয় দুই ব্যক্তির। আহত তিন জন। মাস দুয়েক আগেও ওই রাস্তায় দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার বাস। সে বার আহত হন প্রায় ৭৫ জন। এ দিনের দুর্ঘটনার পরে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, পরপর দুর্ঘটনা ঘটলেও কেন এখনও বেহাল অবস্থায় রয়েছে বৃহত্তর কলকাতার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তা।
পুলিশ জানায়, মৃতদের নাম রশিদ মোল্লা (২৮) ও হবিবুর রহমান সিকদার (৩৫)। তাঁরা দক্ষিণ ২৪ পরগনার জীবনতলা থানা এলাকার হাওড়ামারির বাসিন্দা। আহত দু’জনের নাম সইফুদ্দিন মোল্লা ও খোকন মোল্লা। তৃতীয় জনের পরিচয় শুক্রবার গভীর রাত পর্যন্ত জানা যায়নি। এঁরা সকলেই সুমোর যাত্রী বলে জেনেছে পুলিশ। দুর্ঘটনার পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান দমকলমন্ত্রী জাভেদ খান ও তৃণমূল নেতা সুব্রত বক্সী। |
প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে পুলিশ জেনেছে, ঘটনাটি ঘটেছে তিলজলা থানা এলাকার অন্তর্গত বাসন্তী হাইওয়ের বহিসতলায়। জীবন মণ্ডল নামে এক ভ্যানচালক জানান, সুমোটি খুব জোরে আসছিল। উল্টো দিক থেকে আসছিল ডিএন ১৬/১ রুটের (ধর্মতলা-মালঞ্চ) বাসটি। বহিসতলায় বাসন্তী হাইওয়ে অত্যন্ত সঙ্কীর্ণ ও খানাখন্দে ভরা। হঠাৎই একটি গর্তে পড়ে যায় সুমোটি। এর পর হুড়মুড়িয়ে সেটি এগোতে থাকে উল্টো দিক থেকে আসা বাসটির দিকে। বাসের চালক কিছু বোঝার আগেই সেটির সামনে ধাক্কা মারে সুমোটি।
পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সুমোর চালক রশিদের। আহত চার জনকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে হবিবুরকেও মৃত ঘোষণা করা হয়। হাসপাতাল সূত্রের খবর, আহতদের অবস্থা গুরুতর। তাঁদের মাথায়, বুকে গভীর আঘাত রয়েছে। এক জনের হাত গুঁড়িয়ে গিয়েছে। এ দিন সন্ধ্যায় তিন জনেরই অস্ত্রোপচার হয়।
ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে দমকলমন্ত্রী এ দিন বলেন, “বর্ষার মধ্যে ঠিকাদারেরা রাস্তা ঠিক করার কাজ করতে রাজি হন না। তবে সাময়িক ভাবে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যায় কি না, অবশ্যই দেখা হবে।” স্থানীয়েরা রাস্তায় পর্যাপ্ত আলো নেই বলেও এ দিন বিক্ষোভ দেখান। সুব্রতবাবু বলেন, “যত দ্রুত সম্ভব সংশ্লিষ্ট দফতরকে ওই রাস্তা পর্যবেক্ষণ করে আলো বসানোর নির্দেশ দিয়েছি। সেই সঙ্গে পুলিশকেও বলছি, ওই রাস্তায় গাড়ি-চলাচলের উপরে নজর রাখতে।” |