বধূ নির্যাতনের দায়ে মৃত মহিলার স্বামীকে দোষী সাব্যস্ত করল বোলপুরের ফাস্ট ট্র্যাক আদালত। শুক্রবার বিচারক সোমেশপ্রসাদ সিংহ ঘটনায় অভিযুক্ত অপূর্ব দে-কে তিন বছর সশ্রম কারাদন্ড ও এক হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাস সশ্রম কারাদন্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সরকার পক্ষের আইনজীবী তপন কুমার দে বলেন, “এই মামলায় চিকিৎসক, তদন্তকারী অফিসার-সহ মোট ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছিল। অভিযুক্তকে বধূ নির্যাতনে দোষী সাব্যস্ত করলেও বিচারক তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগটি খারিজ করেছেন।”
ওই বধূর পরিবারের সূত্রে জানা গিয়েছে, বোলপুর থানার সিয়ান-মুলুক পঞ্চায়েতের শাহজাপুরের বাসিন্দা শ্যামলীদেবীর সঙ্গে ওই গ্রামেরই বাসিন্দা পেশায় ডাকবিভাগের কর্মী অপূর্ব দে-র কঙ্কালীতলা মন্দিরে বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের পর গ্রাম থেকে উঠে তাঁরা বোলপুরের ত্রিশূলাপট্টির সবুজপল্লিতে একটি ভাড়াবাড়িতে থাকতেন। শ্যামলীদেবীর পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই পণের দাবি জানিয়ে শ্যামলীদেবীর উপর অত্যাচার চালানো হত। ২০০৮ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি শ্যামলীদেবীর দাদা বাবলু ঘোষ খবর পান তাঁর বোন অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তিনি হাসপাতালে গিয়ে শ্যামলীদেবীকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। ওই দিনই বাবলুবাবু বোলপুর থানায় শ্যামলীদেবীর স্বামী অপূর্ব দে-র বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতন ও আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ জানান। প্রথমে পলাতক থাকলেও পরে পুলিশের হাতে ধরা পড়েন অভযুক্ত অপূর্ব দে।
এ দিন সাজা ঘোষণার পর অপূর্ববাবুর আইনজীবী সৈয়দ মহিউদ্দিন বলেন, “আমরা ৩৮৯ ধারায় এই সাজার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাওয়ার জন্য আমার মক্কেলের জামিনের আবেদন করেছি। বিচারক সেই আবেদন মঞ্জুর করেছেন।” |