পাথরের আড়ালে বক্রেশ্বর তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে কয়লা পাচার হচ্ছেএই অভিযোগে শুক্রবার সকালে ৬টি ট্রাক আটক করা হল। অভিযোগ তুললেন স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক স্বপনকান্তি ঘোষ এবং বিদ্যুৎকেন্দ্রের তৃণমূল প্রভাবিত কর্মী সংগঠন। তাপবিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। বিদ্যুৎকেন্দ্র সূত্রে খবর, বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য যে পরিমান কয়লা আসে তার একটা অংশ পাথর থাকে। তাই এই পাথরগুলিকে বাছাই করে রাখা হয় এবং সে ক্ষেত্রে পাথরের সঙ্গে ৪-৫ শতাংশ কয়লা থেকে যায়। দরপত্র ডেকে ওই পাথর বাইরে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। শুক্রবার তেমনই ট্রাকে পাথর বোঝাই করে প্লান্টের বাইরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। কিন্তু সেই গড়িগুলিতে অনেক বেশি পরিমান কয়লা রয়েছে খবর ছড়াতেই ট্রাকগুলিকে আটকান স্থানীয় কিছু তৃণমূল সমর্থক। ঘটনাস্থলে আসেন তৃণমূল প্রভাবিত কর্মী সংগঠনের লোকজনও। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ এমপ্লয়িজ অ্যসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য রবীন্দ্রনাথ দে চৌধুরী বলেন, “ইদানিং পাথরের সঙ্গে বেশি কয়লা বাইরে যাচ্ছে সন্দেহ ছিল। যে গাড়িগুলি ধরা পড়েছে সেটা দেখে সন্দেহ আরও জোরালো হল।” তাঁর দাবি, “এ বিষয়ে আগেও তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজারের নজরে আনা হয়েছিল। এ বার উপযুক্ত তদন্তের আর্জি জানানো হয়েছে।” খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন স্বপনকান্তি ঘোষ। তিনি বলেন, “পাথরের সঙ্গে বেশ কিছু ভাল কয়লা বেরিয়ে যাচ্ছিল। বিষয়টি জেলা প্রশাসনের কর্তাদের ও বিদ্যুৎমন্ত্রী মণীশ গুপ্তকে জানিয়েছি। চাই ঘটনার উপযুক্ত তদন্ত হোক।” তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার মৃণালকান্তি মিত্র বলেন, “পুলিশকে জানানো হয়েছে। সদাইপুর থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এর বেশিকিছু আমি বলব না।”
|
দুই যুবকের বিরুদ্ধে এক কিশোরীকে অপহরণের অভিযোগ উঠল। ঘটনাটি রামপুরহাট থানা এলাকার। ওই কিশোরীর পরিবারের অভিযোগ, গত ১৪ অগস্ট এ বিষয়ে রামপুরহাট থানায় দুই যুবকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করলেও পুলিশ এখনও কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। ‘অপহৃত’ কিশোরী এখনও উদ্ধার হয়নি। পুলিশ অভিযুক্তদের এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার প্রতিবাদে শুক্রবারই রামপুরহাট থানার আইসিকে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করার পাশাপাশি ওই কিশোরীকে উদ্ধার করার জন্য দাবি জানিয়েছে কংগ্রেস। কিশোরীর পরিবারের সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১ অগস্ট মামার বাড়ি থেকে ফেরার পথে ওই কিশোরী নিখোঁজ হয়ে যায়। বাড়ি না ফেরায় ৪ অগস্ট পুলিশের কাছে নিখোঁজ ডায়েরি করেন ওই কিশোরীর পরিবার। পরে ১৪ অগস্ট এলাকার দুই যুবকের বিরুদ্ধে মেয়েকে অপরহরণের অভিযোগও করেন তাঁরা। এ দিন রামপুরহাট থানার আইসি জয়ন্ত ঘোষ বলেন, “তদন্ত শুরু হয়েছে।”
|
জেলা জুড়ে অপরাধের ঘটনা বেড়ে যাওয়ার অভিযোগে পথে নামল কংগ্রেস। শুক্রবার রামপুরহাট ১ ব্লক কংগ্রেস নেতৃত্ব এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য রামপুরহাট থানার আইসি-কে দাবি জানালেন। পাশাপাশি জেলা জুড়ে মন্দিরে চুরির ঘটনায় দোষীদের খুঁজে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। এ দিন কংগ্রেস নেতা অভিজিৎ মণি, সুব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, ওয়াসিম আলি ভিক্টর-রা অভিযোগ করেন, “সম্প্রতি রামপুরহাট থানার মহেন্দ্রপুর গ্রামে মানসিক জড়বুদ্ধি সম্পন্ন এক কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় পুলিশ এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার করা হোক।” এ ছাড়া রামপুরহাট বালিকা বিদ্যালয়ে সকাল ১০টা এবং স্কুলের টিফিন ও ছুটির সময় পুলিশি নজরদারি বাড়ানোরও দাবি জানান কংগ্রেসকর্মীরা। কংগ্রেসের অভিযোগ, ওই সময় এলাকায় অপরাধমূলক কার্যকলাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার জন্য সাধারণ মানুষ থেকে পড়ুয়া ও তাদের অভিভাবকদের মধ্যে ভীতি তৈরি হয়েছে। এ প্রসঙ্গে আইসি জয়ন্ত ঘোষ বলেন, “বিষয়টি আমার নজরে আছে।”
|
মা ও শিশুদের নিয়ে শুক্রবার দুপুরে সাঁইথিয়া রবীন্দ্র ভবনে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করল সাঁইথিয়া পুরকর্তৃপক্ষ। অনুষ্ঠানে শহরের বিপিএল তালিকাভুক্ত ৬৮ জন মায়েদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। পুরপ্রধান বীরেন্দ্রকুমার পারখ বলেন, “মায়েরা সুস্থ থাকলে সন্তানও সুস্থ থাকবে। এই উদ্দেশ্যে গত দেড় বছর ধরে শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডে সমীক্ষা চালিয়ে গর্ভবতী মহিলাদের সচেতন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বলা হয়েছিল, জন্মানোর সময়ে যাঁদের সন্তানের ওজন আড়াই কেজির বেশি হবে তাঁদের পুরস্ক-ত করা হবে। এদিনই তেমন ৬৮ জন মায়ের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।” অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাঁইথিয়ার বিএমওএইচ সুজয় পাল, সিডিপিও দীনবন্ধু সহিস, কংগ্রেস নেতা সব্যসাচী দত্ত প্রমুখ। |