আচমকা পরিদর্শনে বেরিয়ে ফেরিওয়ালাদের কাছ থেকে প্রায় ১৮০ লিটার কেরোসিন বাজেয়াপ্ত করল খাদ্য নিয়ামক দফতর। শুক্রবার দুপুরে কেতুগ্রামের খাটুন্দি ও কোমরপুর গ্রামের কাছে কেরোসিন বাজেয়াপ্ত করা হয়। কাটোয়া মহকুমা খাদ্য নিয়ামক দফতরের আধিকারিক অসীমকুমার নন্দী বলেন, “কেরোসিনের সঙ্গে দু’টি সাইকেল বাজেয়াপ্ত করে কেতুগ্রাম থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।”
গত বৃহস্পতিবারই আনন্দবাজার পত্রিকায় কেরোসিনে ভেজাল দিয়ে নকল ডিজেল তৈরির খবর প্রকাশিত হয়। খাদ্য নিয়ামক দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, তার পরেই কাটোয়ার মহকুমাশাসক দেবীপ্রসাদ করণম কেরোসিনের ‘ফেরিওয়ালা’দের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশ মেনে শুক্রবার কাটোয়া মহকুমা খাদ্য নিয়ামক দফতরের মুখ্য পরিদর্শক (সিআই) অসীম গোস্বামীর নেতৃত্বে পাঁচ জনের দল গঠন করা হয়। ওই দল এ দিন সকাল থেকে কেতুগ্রাম থানা এলাকার রাস্তা-গলিতে ‘ফেরিওয়ালা’ ধরার জন্য ঘুরে বেড়াচ্ছিল।
খাদ্য নিয়ামক দফতর সূত্রে জানা যায়, দুপুরের পরে খাটুন্দির কাছে পরিদর্শনকারী দলের নজরে পড়ে, একটি সাইকেলের ক্যারিয়ারে দু’পাশে বড় বড় জ্যারিকেন নিয়ে এক জন কোমরপুরের দিকে যাচ্ছে। পরিদর্শনকারী দলের সদস্যেরা তাকে দাঁড়াতে বলেন। কিন্তু সে সাইকেল ফেলে রেখে খেত জমি দিয়ে ছুটে পালিয়ে। জ্যারিকেন খুলে দেখা যায়, তাতে প্রায় ১১০ লিটার কেরোসিন রয়েছে। পরিদর্শনকারী দলের এক সদস্য বলেন, “কোমরপুরের মুখে গিয়ে দেখি সাইকেলে করে কেরোসিনের জ্যারিকেনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আমাদের গাড়ি দেখে সাইকেল রেখে পালায়। সেখান থেকে ৭০ লিটার তেল উদ্ধার হয়।”
মহকুমাশাসক বলেন, “এ রকম ভাবে নিয়মিত পরিদর্শন চালালে উপভোক্তারাও কালোবাজারে আর কেরোসিন বিক্রি করবেন না।” |