দাসেরবাঁধ-কাণ্ডে ফের পিছিয়ে গেল চার্জগঠন
হাইকোর্ট সাময়িক স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়ানোয় ফের পিছিয়ে গেল দাসেরবাঁধ কঙ্কাল-কাণ্ড। বুধবারও চার্জগঠন হল না। গত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর এই মামলায় চার্জশিট পেশ করেছিল সিআইডি। তারপর চার্জগঠন হয়ে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু, বিভিন্ন কারণে মামলাটি পিছিয়ে যাচ্ছে। পরবর্তী দিন ধার্য হয়েছে আগামী ৫ অক্টোবর।
এ দিন মেদিনীপুর আদালতে দাসেরবাঁধ কঙ্কাল মামলার চার্জগঠন সংক্রান্ত শুনানি শুরু হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। তবে হাইকোর্ট জামিনে মুক্ত এক অভিযুক্তের গ্রেফতারি পরোয়ানার উপর সাময়িক স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়িয়ে দিয়েছে। আগামী ৩ অক্টোবর হাইকোর্টে এ সংক্রান্ত শুনানি রয়েছে। ওই নির্দেশের প্রেক্ষিতে মামলাটি ফের পিছিয়ে গেল। এ দিন বেলা ১১টা নাগাদ দাসেরবাঁধ কঙ্কাল-কাণ্ডে ধৃতদের মেদিনীপুরের চতুর্থ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক অভিজিৎ সোমের এজলাসে হাজির করা হয়। এই মামলায় মোট ২১ জনকে গ্রেফতার হয়েছেন। এঁদের মধ্যে প্রাক্তন মন্ত্রী তথা গড়বেতার বর্তমান বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ, সিপিএম নেতা কিরীটি রায়, দেবাশিস পাইন, বিলাস পাঁজা, বিশ্বরূপ ঘোষ, শেখ আরফিন, অর্ণব ঘোষ এই ৭ জন জামিন পেয়েছেন। অর্ণব ঘটনার সময় নাবালক ছিলেন। তাই তাঁর বিচার চলছে জুভেনাইল কোর্টে। জেল হেফাজতে থাকা ১৪ জনকে এ দিন মেদিনীপুর আদালতে হাজির করা হয়। জামিনে মুক্ত সুশান্ত ঘোষ-সহ ৫ জন সকাল ১০টা নাগাদ আদালত কক্ষে হাজির হন। একমাত্র অনুপস্থিত ছিলেন কিরীটী রায়। তাঁকে নিয়েই আইনি ‘জটিলতা’ রয়েছে।
আদালত থেকে বেরিয়ে সুশান্ত ঘোষ। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল।
অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছিলেন কিরীটী। তারপর মামলার দিন তিনি মেদিনীপুর আদালতে হাজির হচ্ছিলেন না। ফলে চার্জগঠন পিছিয়ে যাচ্ছিল। গত ৫ জুলাই তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়না জারি করে মেদিনীপুরের চতুর্থ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালত। এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় অভিযুক্তপক্ষ। গত ১৮ জুলাই এই আবেদন জানানো হয়। তা খতিয়ে দেখে মামলার অগ্রগতির ক্ষেত্রে সাময়িক স্থগিতাদেশ দেয় হাইকোর্ট। ১ অগস্ট এই সংক্রান্ত শুনানিতে সরকারপক্ষের তরফে সময় চেয়ে আবেদন জানানো হয়। আগামী ৩ অক্টোবর হাইকোর্টে ফের শুনানি হবে। এ দিন মেদিনীপুর আদালতে এ কথা জানান অভিযুক্তপক্ষের আইনজীবী রাণা গঙ্গোপাধ্যায়। এই সংক্রান্ত কাগজপত্রও জমা দেন তিনি।
পাল্টা সওয়াল করতে গিয়ে সরকারপক্ষের আইনজীবী শক্তি ভট্টাচার্য বলেন, “হাইকোর্ট একটি বিষয়ের উপর সাময়িক স্থগিতাদেশ দিয়েছে। পুরো মামলার উপর নয়।” তাঁর আরও বক্তব্য, “কিরীটী রায়ের ঠিকানা আদালতের কাছে নেই। আগে হাসপাতালে ভর্তির সময় যে ঠিকানা দেওয়া হয়েছিল সেখানে খোঁজ করে দেখা গিয়েছে, এই নামে কেউ থাকে না।” অভিযুক্তপক্ষের আইনজীবী অবশ্য জানান, ঠিকানা আদালতকে জানাতে হবে, হাইকোর্ট এমন কোনও নির্দেশ দেয়নি। দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পর ৫ অক্টোবর মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করেন বিচারক। কিরীটী রায়ের ঠিকানা আদালতেছ জমা দেওয়ারও নির্দেশ দেন তিনি।
এ দিন আদালত থেকে বেরিয়ে গাড়িতে ওঠার সময় রাজ্যে ধর্ষণ-সহ নানাবিধ অপরাধের বাড়বাড়ন্ত সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে সুশান্তবাবু বলেন, “পুলিশ তো স্বাধীন নয়, একটি দফতরের অধীন। সেই দফতর যেমন চালাচ্ছে, পুলিশ তেমন চলছে।” সেই সঙ্গে তাঁর অভিযোগ, “বর্তমান সরকার প্রতিহিংসাপরায়ণ।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.