টেস্ট সিরিজের ঠিক আগে দুটো টিমের লক্ষ্য কী জানতে চাইলে বলতে হয়, একটা চোখ এই টেস্ট সিরিজে, অন্যটা আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। এমনটা যদি হয়, তা হলে খুব ভাল টেস্ট ক্রিকেট কিন্তু দেখা যাবে না। কিন্তু ক্রীড়াসূচিটাই যদি এমন হয়, কী করা যাবে? ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীরা কিন্তু টানা নয় বা দশটি টেস্টে হার সহ্য করবে না। দেশের মাঠে হারটা তো নয়ই। সিরিজে একটা বলও পড়েনি, এখনই আশা করা হচ্ছে ভারত ২-০ জিতবে।
নিউজিল্যান্ড আবার আশা করছে ভারতে ভাল ফল করবে টিম। ক্যারিবিয়ান সফরে খারাপ ফল হলেও টিম লড়েছিল। টিমের ক্রিকেটারদের প্রত্যেকে কিন্তু এই টেস্ট সিরিজের জন্য ভাল প্রস্তুতি নিয়েছে, বেশ কিছু প্রতিভাবান ক্রিকেটারও দলে আছে। তবে অনভিজ্ঞতাও আছে। আমার মনে হয় দু’এক বছরে মধ্যে দলটা বেশ পরিণত হয়ে উঠবে, যদি অভিজ্ঞতা থেকে শিখতে পারে। এই মুহূর্তে প্রশ্নটা হল ব্যাটিং আর ড্যানিয়েল ভেত্তোরির অনুপস্থিতি নিয়ে।
ব্যাটসম্যানদের কাজ হল বারবার স্ট্রাইক বদলানো, নরম হাতে খেলা আর ভারতীয় স্পিনারদের বিরুদ্ধে গুটিয়ে না থাকা। আমাদের পেস আক্রমণটা ভাল। দ্রাবিড়-লক্ষ্মণহীন ভারতের ব্যাটিং লাইন আপকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে। রিভার্স সুইং-ও এই সফরে খুব গুরুত্বপূর্ণ হবে। সোজা বল করার মতোই। কী বোলিং কম্বিনেশনে টিম খেলবে, সেটা গুরুত্বপূর্ণ। একটা স্পিনার খেলাতেই হবে, দুটোও খেলানো যেতে পারে। সিরিজে ভাল কিছু করতে হলে বীরেন্দ্র সহবাগকে আগে তুলতে হবে। ওর উইকেটটা তফাত গড়ে দিতে পারে। বীরুর ব্যাট চললে রান আসবে ঝড়ের গতিতে আর সেটাই তফাত গড়ে দেবে। বীরু আর সচিনকে যদি আগে তুলে নেওয়া যায়, ভারতের উপর চাপ সৃষ্টি করা যাবে।
ভারতীয় বোলিংয়ের জন্যও প্রশ্ন থাকছে। দেশের মাঠে কুড়িটা উইকেট তোলার মতো বোলিং আছে তো? এখনকার ভারতীয় স্পিনারদের আমি ওয়ান ডে আর আইপিএলে দেখেছি। টেস্টে ওরা কতটা কার্যকরী সেটা অন্য প্রশ্ন। ভারতের মাঠে নিউজিল্যান্ডকে দু’বার আউট করতে না পারলে কিন্তু স্পিনারদের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠবে।
শেষে লক্ষ্মণকে নিয়ে কয়েকটা কথা। আমার দেখা ধ্রুপদী ক্রিকেটারদের মধ্যে অন্যতম। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে কলকাতা, অ্যাডিলেড ও সিডনিতে ওর ব্যাটিং ভুলব না। বিশেষ করে ওর হাত আর টাইমিং। স্বার্থহীন থেকে সরে গেল। ভিভিএসকে অভিনন্দন, তোমার সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পাওয়াটা খুব আনন্দদায়ক ছিল। |