অবৈধ ভাবে গাছ কাটার অভিযোগ উঠল এক ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগে বাসিন্দাদের একাংশ বুধবার সকালে গাছ কাটার কাজ বন্ধ করে দেন। রামপুরহাট থানার মাসড়া পঞ্চায়েতের ঘটনা। রামপুরহাট ১ ব্লকের বিডিও আব্দুল মান্নান বলেন, “অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, মাসড়া গ্রাম সংলগ্ন চাঁদনি থেকে বটতলা পর্যন্ত প্রায় এক কিমি ক্যানাল পাড়ে ৪০০টি গাছ কাটার জন্য ঠিকাদারকে নির্দেশ দেওয়া হয়। দিন চারেক থেকে ওই গাছ কাটা শুরু হয়েছে। বনদফতরের তুম্বনি রেঞ্জের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক মহম্মদ সাহিদুল্লাহ বলেন, “মাসড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ৪০০টি গাছ কাটার জন্য অনুমোদন চেয়েছিলেন। সেই মতো ৩০০টি ইউক্যালিপটাস, ৯০টি সোনাঝুরি ও ১০টি অর্জুনসব মিলিয়ে ৪০০টি গাছ কাটার জন্য গত ২৪ জুলাই অনুমোদন দেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে সেচ দফতরের কোনও আপত্তি ছিল না।” তিনি আরও বলেন, “৪০০টির বেশি গাছ কাটা হয়ে থাকলে অতিরিক্ত ওই কাটা গাছ বাজেয়াপ্ত করা হবে।” |
মাসড়া পঞ্চায়েতের প্রধান সিপিএমের মঙ্গল বাস্কির দাবি, “ওই গাছগুলির বয়স হয়ে গিয়েছে। গাছগুলিও কে বা কারা কেটে নিয়ে পালাচ্ছিল। তবে ৪০০টি গাছ কাটার ক্ষেত্রে নিয়ম মেনেই দরপত্র আহ্বান করে এক ঠিকাদারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।” প্রধানও বলেন, “বেশি গাছ কাটা হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
যদিও মাসড়া গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, ঠিকাদারের সঙ্গে যোগসাজোস করে প্রধান গাছ কাটার নির্দেশ দিয়েছেন। এ দিন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ৯৫৬টি গাছ কাটা হয়েছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, গাছ কাটার ক্ষেত্রে কোনও সরকারি বিধি মানা হয়নি। তাই এলাকায় গিয়ে গাছ কাটা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং কেন কী ভাবে গাছ কাটা হল তাও প্রধানের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে। রামপুরহাট থানার কাষ্ঠগড়া গ্রামের বাসিন্দা মুর্সেদ আলি শেখ ওই গাছ কাটার দায়িত্ব পান। তিনি বলেন, “সকলের অনুমোদন নিয়ে ৪০০টি গাছ কাটার কাজ চলছে। ৩০০টি গাছ কাটা হয়েছে।”
তাঁর পাল্টা দাবি, “কোনও বেশি গাছ কাটা হয়নি।” কাজ বন্ধ করলে প্রশাসনের দ্বারস্থ হবেন বলে তিনি জানিয়েছেন। |