পুলিশি পাহারায় মঙ্গলবার মানেসর কারখানা চালু করেছে মারুতি-সুজুকি। কারখানায় হিংসাত্মক ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে ৫০০ জন শ্রমিককেও ছাঁটাই করেছে সংস্থাটি। বুধবার এই ছাঁটাই প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে দেশের অগ্রণী শ্রমিক সংগঠনগুলির জোট অল ইন্ডিয়া সেন্ট্রাল কাউন্সিল অফ ট্রেড ইউনিয়ন্স (এআইসিসিটিইউ)। একই সঙ্গে তাদের অভিযোগ, কারখানা কর্তৃপক্ষের ‘বেআইনি’ কার্যকলাপে হরিয়ানার সরকার মদত দিচ্ছে। এ দিন নয়াদিল্লিতে শ্রমিক সংগঠনগুলি দীর্ঘ সময় ধরে বিক্ষোভ দেখায়। পুলিশ পাহারাও তুলে নিতে বলেছে তারা।
লক্ষণীয় ভাবে এ নিয়ে শ্রমিক সংগঠনগুলির যৌথ বিবৃতিতে সই করেছে আইএনটিইউসি-ও, যারা কংগ্রেসেরই শ্রমিক সংগঠন। এবং হরিয়ানা সরকারও কংগ্রেস পরিচালিত। যৌথ বিবৃতিতে শ্রমিক সংগঠনগুলি দাবি, ছাঁটাই করা শ্রমিকদের পুনর্বহাল করতে হবে। তাদের অভিযোগ, কোনও তদন্ত এবং চার্জশিট ছাড়া এ ভাবে ছাঁটাই বেআইনি। ঘটনার বিচারবিভাগীয় তদন্তও চায় তারা। যে-সব শ্রমিককে পুলিশ ‘অকারণে’ গ্রেফতার করেছে, তাঁদেরও অবিলম্বে মুক্তির দাবি উঠেছে। |
হিংসাত্মক ঘটনায় এক উচ্চপদস্থ কর্তা-সহ ১০০ জন জখম হওয়ার পরে মানেসরের কারখানাটি বন্ধ করে দিয়েছিল মারুতি-সুজুকি। এক মাস পরে গত কাল কারখানাটি খোলে। সংস্থা সেখানে নিজস্ব নিরাপত্তারক্ষী বহাল করেছে। রাজ্য সরকারও বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করেছে। এর প্রতিবাদ করে শ্রমিক সংগঠনগুলির অভিযোগ, দেশের ইতিহাসে এমন ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি। প্রশাসনও লজ্জাজনক ভাবে সংস্থা কর্তৃপক্ষের দাবি মানছে। অবিলম্বে কারখানা থেকে পুলিশ পাহারা প্রত্যাহারেরও দাবি জানিয়েছে তারা। আইএনটিইউসি ছাড়াও সিটু, এআইটিইউসি, এইচএমএস, এআইইউটিইউসি, এআইসিসিটিইউ, এলপিএফ, এসইডব্লিউও, বিএমএস, ইউটিইউসি, টিইউসিসি ওই যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছে। গোলমালের ঘটনায় এখনও মাওবাদীদের ইন্ধন দেওয়ার প্রমাণ নেই বলে এ দিন রাজ্যসভায় দাবি জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহ। তাঁর মতে, ওই শিল্পাঞ্চলে প্রভাব বিস্তারের লক্ষ্যেই মাওবাদীদের বিভিন্ন শাখা ও তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল সংগঠনগুলি মারুতি কারখানার শ্রমিকদের সমর্থনে পরে সেখানে অবস্থান-বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। |