চাকরির টোপ দিয়ে ডুয়ার্সের মালবাজারের মেটেলি থানা এলাকার ৩ কিশোরীকে ভিনরাজ্যে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছিল। অভিযোগ পেয়ে চা বাগান শ্রমিকের অভিযুক্ত স্ত্রীকে গ্রেফতার করে দিল্লি ও সুরাতে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ ওই ৩ জনকেই উদ্ধার করেছে। মঙ্গলবার সকালে ওই তিন কিশোরীকে মালবাজারে আনার পরে জলপাইগুড়ি আদালতে তোলা হয়। পরে তাদের জলপাইগুড়ির একটি সরকারি হোমে রাখা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের সন্দেহ, ধৃত চা শ্রমিকের স্ত্রী সুজিতা তাঁতি বহুদিন ধরে নারী পাচার চক্রের সঙ্গে যুক্ত। ওই তিন কিশোরীকে দিল্লিতে এক ‘দালাল’-এর হাতে তুলে দিয়ে ৩০ হাজার টাকা সুজিতা পেয়েছেন বলে পুলিশের সন্দেহ। মালবাজারের এসডিপিও অরিন্দম সরকার বলেন, “সুজিতাকে জেরা করে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে। সব খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” ওই মামলার তদন্তে মেটেলি থানার ওসি অনিন্দ্য ভট্টাচার্যের তৎপরতার প্রশংসা করেন এসডিপিও। পুলিশ জানায়, গত ১৬ জুলাই মেটেলি থানার অন্তর্গত মেটেলি চা বাগানের মল্লার লাইনের তিন কিশোরী নিখোঁজ হয়ে যায়। ১৭ জুলাই মেটেলি থানায় নিখোঁজের ডায়েরি হয়। নাগেশ্বরী চা বাগানের এক শ্রমিকের স্ত্রী সুজিতা তাঁতির সঙ্গে ওই তিন কিশোরীকে মাঝেমধ্যে দেখা যেত বলে পুলিশকে জানানো হয়। পুলিশ সুজিতাকে জেরার পরে কিছু স্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করে। সুজিতার থেকে পাওয়া তথ্য-সূত্র ধরে পুলিশ দিল্লি ও সুরাতে যায়। সেখানে গিয়ে তিন কিশোরীকে উদ্ধার করে মেটেলি থানার পুলিশ। পুলিশ জানতে পেরেছে, সুজিতার সঙ্গে ডামডিম এলাকার একজন প্রভাবশালী ব্যক্তির নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে। তবে ওি পাচার চক্রে দিল্লির কে বা কারা জড়িত এবং ডুয়ার্সের কজনকে সুজিতা পাচার করেছে তা পুলিশের কাছে এখনও স্পষ্ট নয়। |