সুবাস ঘিসিং নেতৃত্বাধীন দার্জিলিং গোর্খা পার্বত্য পরিষদের চেয়ে বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন স্বশাসিত পর্ষদ গঠনে সাহায্য করার জন্য রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারকে ‘ধন্যবাদ’ জানাতে গেল জিটিএ-র প্রতিনিধি দল। মঙ্গলবার সকালে জিটিএ চিফ এগজিকিউটিভ বিমল গুরুঙ্গের নেতৃত্বে ৭ সদস্যের প্রতিনিধি দল কলকাতা পৌঁছান। কলকাতায় রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন তাঁরা। আগামী বৃহস্পতিবার দিল্লি যাবেন তাঁরা। সেখানে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন জিটিএ’ প্রতিনিধিরা। এ দিন বাগডোগরা বিমানবন্দরে জিটিএ’র সদস্য তথা গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি বলেন, “জিটিএ গঠন হওয়ার পর আমরা সৌজন্য সাক্ষাৎকারের জন্য কলকাতা ও দিল্লি যাচ্ছি। বুধবার রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করব। মুখ্যমন্ত্রী দিল্লি যাবেন বলে শুনেছি। তাঁর সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এখনও ঠিক হয়নি। কলকাতায় গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সাক্ষাতের সময় চাইব। বৃহস্পতিবার দিল্লি যাব। সেখানে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করব। অর্থমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গেও দেখা করব। সবাইকে ধন্যবাদ জানানো হবে।” বিমল গুরুঙ্গ অবশ্য এদিন কোনও বিষয়ে কথা বলতে চাননি। জিটিএ’তে প্রাথমিক ভাবে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পর্যটনের উন্নয়নে জোর দেওয়া হবে বলে এদিন রোশন জানান। রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের কাছে নতুন করে কোনও দাবির ব্যপারে তাঁরা আলোচনা করবেন কি না তা নিয়ে মোর্চার সাধারণ সম্পাদক কিছু বলতে চাননি। তরাই ও ডুয়ার্সের জিটিএ’তে অন্তর্ভূক্তি নিয়ে এদিন রোশন গিরি বলেন, “তরাই ও ডুয়ার্স জিটিএ’র অন্তর্ভুক্ত হলে এলাকা বাড়বে। তরাই ও ডুয়ার্সে উন্নয়নে গতি আসবে। আমরা চাই তরাই ও ডুয়ার্স থেকে আমন্ত্রিত সদস্য জিটিএ’তে রাখার ব্যবস্থা করা হোক।” বিষয়গুলি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁরা আলোচনা করবেন কি না তা নিয়ে কিছু বলতে চাননি মোর্চার সাধারণ সম্পাদক। প্রতিনিধি দলে অবসরপ্রাপ্ত কর্ণেল রমেশ আলে, দার্জিলিঙের জেলাশাসক সৌমিত্র মোহন ছিলেন। |