সুন্দরবন দিবস উদ্যাপন অনুষ্ঠানে এসে সংবাদ মাধ্যমের সমালোচনা করলেন রাজ্যের সুন্দরবন উন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী শ্যামল মণ্ডল।
মঙ্গলবার উত্তর ২৪ পরগনার হাসনাবাদের টাকিতে ওই অনুষ্ঠানে মন্ত্রী শ্যামলবাবু বলেন, ‘‘সুন্দরবন লাগোয় দুই ২৪ পরগনার ১৯টি ব্লকে উন্নয়ন খাতে প্রায় ১৪৫ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। এ ছাড়া আগামী দু’বছরে আরও ২৫০ কোটি টাকা খরচের পরিকল্পনা করা হয়েছে। অথচ কিছু সংবাদ মাধ্যম উদ্দেশ্যপূর্ণভাবে মিথ্যা প্রচার শুরু করেছে। এতে আপনারা বিভ্রান্ত হবেন না।” তিনি আরও জানান, তাঁদের দফতরের বিরুদ্ধে কিছু কিছু সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তমূলক প্রচার করছে। অথচ তাঁর দফতর বাজেটের ৯৮ শতাংশ টাকাই খরচ করেছে। দফতরের কাজের নমুনা তুলে ধরে মন্ত্রী জানান, সেতু, খালের পাড় বাঁধানো, বৃক্ষরোপণ, নদী বাঁধ, বিদ্যালয়ের পরিকাঠামোর উন্নতি-সহ সুন্দরবন এলাকার মানুষের জন্য বিশুদ্ধ পানীয় জলের জন্য ৬৭৬টি গভীর নলকূপ তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। এ দিন মন্ত্রী রামেশ্বরপুর ও টাকি একটি স্কুলের মাধ্যমিকে ভাল ফল করা দুই পড়ুয়ার হাতে পুরস্কার ও অর্থসাহায্য তুলে দেন।
সুন্দরবন উন্নয়ন পর্যদের যুগ্মসচিব বিদ্যুৎ ভট্টাচার্য বলেন, “সার্বিক সচেতনতার জন্য এই দিনটি পালন করা হয়। সুন্দরবন এলাকায় বাদাবন সংরক্ষণ ও নদী থেকে মিন ধরা বন্ধ করতে হবে। পানীয় জলের অভাব দূর করতে বৃষ্টির জল ধরে রাখার জন্য মানুষকে সচেতন করে তুলতে হবে।” অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বসিরহাট উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক এটিএম আবদুল্লা, টাকি পুরসভার উপপ্রধান মৃত্যঞ্জয় ঋষিদাস, হাসনাবাদের বিডিও শ্যামলাল হালদার প্রমুখ। অন্যদিকে এ দিন দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগরদ্বীপের সাগর কলেজ মাঠে প্রদীপ জ্বালিয়ে সুন্দরবন উৎসবের উদ্বোধন করেন রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃক্ষরোপণও করেন তিনি। উপস্থিত ছিলেন সাগরের বিধায়ক বঙ্কিম হাজরা, কাকদ্বীপের বিধায়ক মন্টুরাম পাখিরা, পাথরপ্রতিমার বিধায়ক সমীর জানা প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সকলেই সুন্দরবন এলাকায় নদীবাঁধ রক্ষা করা ও আরও ম্যানগ্রোভ রোপণের মাধ্যমে সুন্দরবনকে সাজিয়ে তোলার কথা বলেন। অনুষ্ঠানে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে কাকদ্বীপ মহকুমার প্রথম স্থানাধিকারীদের মানপত্র ও ২ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়। সাগর এলাকার বেশ কিছু স্কুলের কয়েক হাজার ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অভিভাবকেরা এক শোভাযাত্রা বের করেন। অনুষ্ঠানে সুন্দরবনের ভাঙনরোধে ‘গঙ্গাদেবী’ গীতিনাট্য পরিবেশিত হয়। |