বেলডাঙার বিভিন্ন মোড়ে এখন দু’রকমের হোর্ডিং। দু’টিই বেলডাঙা কেন্দ্রীয় ব্যবসায়ী সমিতির। সমিতির রেজিস্ট্রেশন নম্বরও এক। কিন্তু সমস্যা পেকেছে পদাধিকারীদের নাম নিয়ে। মিলছে না তাঁদের মোবাইল নম্বরও।
ঈদের শুভেচ্ছা বার্তা দেওয়া সেই হোর্ডিংয়ে সমিতির সভাপতি কিংবা সম্পাদক হিসেবেও রয়েছে বিন্ন নাম। আসল পদাধিকারী কে? বুক চাপড়ে দু পক্ষই দাবি করছেন, প্রকৃত পদাধিকারীই তিনিই।
একটি ফ্লেক্সে দাবি করা হয়েছে, বেলডাঙা কেন্দ্রীয় ব্যবসায়ী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক। তিনি বলেন, “নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগের কমিটির পদাধিকারীরা বর্তমানে কেউই সরাসরি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত নন। তাই আমরা বেলডাঙার সাতটি অঞ্চল ব্যবসায়ী এবং পূর্বের কমিটির সদস্যদের ডেকে তাঁদের স্বাক্ষর নিয়ে বৈঠক করে নতুন কমিটি গঠন করেছি। ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন বেলডাঙার ৪৮৬ জন ব্যবসায়ী। সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সেই সভা করা হয়েছে।”
কিন্তু যে কমিটি ছিল, তার সভাপতি আজিজুল হক চৌধুরী। তাঁর দাবি, “কোনও নতুন কমিটি গঠন করা হয়নি। জেলা চেম্বার অফ কমার্সের অনুমোদন একমাত্র আমাদেরই রয়েছে।” তাঁর দাবি, “আমরা সাধারণ সভা ডেকেছি ৩০ অগস্ট। সেখানেই প্রমাণ দেব, জনসমর্থনও আমাদের সঙ্গেই রয়েছে।”
এই পরিস্থিতিতে সাধারণ ব্যবসায়ীরা উদ্বিগ্ন। তাঁরা বলছেন, ব্যবসায়ী সমিতির একটিই কমিটি হওয়ার কথা। কিন্তু কর্তারা যে ভাবে দলাদলি করছেন, তাতে ব্যবসায়ীরা বিরক্ত ও বিভ্রান্ত। মুর্শিদাবাদ ডিস্ট্রিক্ট চেম্বার অফ কমার্সের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রদ্যুৎ দে বলেন, “একটা কমিটি থাকার পরেও কী করে ৪৮৬ জন ব্যবসায়ী মিলে আরও একটি কমিটি গঠন করলেন, তা জানি না।” |