বিতর্ক থেকে রেহাই পেলেন না স্বয়ং রবীন্দ্রনাথও। সৌজন্য তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর, নদিয়া।
দফতরের উদ্যোগে ২২শে শ্রাবণ কৃষ্ণনগর রবীন্দ্রভবনে ‘নাচে জন্ম নাচে মৃত্যু’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। অনুষ্ঠানকে কৃষ্ণনগরের শিল্পী ও সংস্কৃতিপ্রেমী মানুষের মধ্যে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। এই অনুষ্ঠানের আয়োজন ও পরিচালনার ক্ষেত্রে একাধিক বেনিয়ম ও স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলে সম্প্রতি জেলাশাসকের কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন কৃষ্ণনগর সাংস্কৃতিক মঞ্চের ১০৫ জন সদস্য।
অনুষ্ঠানের বিষয়ে রবীন্দ্রভবন পরিচালন কমিটিতে কোন আলোচনাই হয়নি। পরিবর্তে জেলার তথ্য আধিকারিকের পছন্দের কয়েকজনের পরামর্শে এই অনুষ্ঠান হয়েছে। শুধু তাই নয়, এটি সরকারি অনুষ্ঠান হলেও শহরের সমস্ত স্কুলগুলোকে অংশগ্রহণের জন্য কোন আমন্ত্রণও জানানো হয়নি। এছাড়াও ওই মঞ্চের অভিযোগ, দিনের পর দিন শহরের সঙ্গীত ও যন্ত্রসঙ্গীতের শিল্পীরা বিনা পারিশ্রমিকে সরকারি অনুষ্ঠানে এর আগে অংশগ্রহণ করে এসেছেন অথচ এই অনুষ্ঠানে স্থানীয় যন্ত্রসঙ্গীত শিল্পীদের আমন্ত্রণ না করে কলকাতা থেকে ত্রিশ হাজার টাকা ব্যয় করে ‘মিউজিক ট্র্যাক’ করে আনা হয়েছে।
সাংস্কৃতিক মঞ্চের আহ্বায়ক শ্যামল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,‘‘তথ্য সংস্কৃতি দফতরের উদ্দেশ্য হওয়া উচিৎ এলাকার শিল্পীদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সুযোগ দিয়ে তাদের উৎসাহিত করা। কিন্তু তার পরিবর্তে তথ্য সংস্কৃতি দফতর যেভাবে স্বজনপোষন করল তাতে আমরা মর্মামত।’’
জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক অলোক সান্যাল বলেন, ‘‘একটি অভিযোগও ঠিক নয়। কলকাতায় ‘হাজার কন্ঠে রবীন্দ্রনাথ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের অনুকরণে কৃষ্ণনগরের বেশ কয়েক জন মিলে ‘একশো কন্ঠে রবীন্দ্রনাথ’ অনুষ্ঠানটির আয়োজন করছিলেন। আমরা ওই অনুষ্ঠানটিকে সরকারিভাবে ২২ শ্রাবণ অনুষ্ঠানের মধ্যে অর্ন্তভূক্ত করি। পরে এলাকার সব স্কুল ও শিল্পীদেরকেও ওই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করার জন্য আমন্ত্রণও জানানো হয়েছিল। আর পোষাকের বিষয়টি শিল্পীরা নিজেরাই ঠিক করেছিলেন এর সঙ্গে আমাদের দফতর কোনভাবেই যুক্ত নই।’’ |