নারায়ণদত্ত তিওয়ারির পর সত্যানন্দ ঝা। কংগ্রেসের পর দলীয় নেতার পিতৃত্ব-প্রশ্নে এ বার সঙ্কটে ঝাড়খণ্ড বিজেপি।
বছর খানেক ধরেই একের পর এক নির্বাচনী লড়াইয়ে জোট শরিকদের কাছে ক্রমশ কোণঠাসা ঝাড়খণ্ডের বিজেপি। তার মধ্যেই রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী তথা সাঁওতাল পরগণার বিজেপি নেতা সত্যানন্দ ঝা এক স্কুলশিক্ষিকার সঙ্গে বিবাহ এবং তাঁর সন্তানের পিতৃত্ব ‘অস্বীকারে’ অভিযুক্ত হওয়ায় প্রবল অস্বস্তিতে দলের রাজ্য নেতৃত্ব।
সম্প্রতি সোনুদেবী নামে সাঁওতাল পরগনার জামতারার এক স্কুলশিক্ষিকা দাবি করেন, কৃষিমন্ত্রী সত্যানন্দ তাঁর স্বামী। ১৯৯৪ সালে দেওঘরের একটি মন্দিরে তাঁদের বিয়ে হয়। সোনুদেবী জানিয়েছেন, সত্যানন্দের ঔরসে তাঁদের বছর চারেকের একটি ছেলেও আছে। কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে সোনুদেবীর বিয়ের প্রমাণ হিসেবে সম্প্রতি কিছু তথ্য দুমকা জেলা পুলিশের কাছে পেশ করেছেন সম্তোষ চৌধুরী নামে এক ব্যক্তি। তিনি নিজেকে সোনুদেবীর ভাই বলে জানিয়েছেন। কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি।
তবে বিষয়টি সামনে আসার পরেই দুমকা পেরিয়ে এর রেশ ছড়িয়ে পড়েছে গোটা সাঁওতাল পরগনায়। কাল দুমকায় কৃষিমন্ত্রীর কুশপতুল দাহ করে কংগ্রেস। এন ডি তিওয়ারি বনাম রোহিত শর্মা মামলায় যে ভাবে ডিএনএ পরীক্ষার সাহায্য নিয়ে পিতৃত্ব বিতর্কের অবসান হয়, এ ক্ষেত্রেও তেমন সোনুদেবীর ছেলে ও কৃষিমন্ত্রীর ডিএনএ পরীক্ষার দাবি তোলা হয়েছে।
কৃষিমন্ত্রীর ইস্তফা চেয়েছে কংগ্রেস। রাজ্যের জোট সরকারের অন্যতম শরিক ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি বজায় রাখতে ঘটনার তদন্তের দাবি তুলেছে। জেএমএম-এর কোর কমিটির সম্পাদক বিনোদ পাণ্ডের কথায়, “অভিযোগ খুবই গুরুতর। ওই ঘটনায় সরকারের ভাবমূর্তি সঙ্কটে পড়েছে। তাই মুখ্যমন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা-সহ বিজেপি রাজ্য নেতৃত্বকে সমস্ত ঘটনার তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলেছি।”
মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ সূত্রের খবর, কৃষিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে বিরক্ত অর্জুন মুন্ডা। এ নিয়ে তিনি দলের রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনাও করেছেন। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দীনেশানন্দ গোস্বামী এ দিন বলেন, “কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। উনি তো বলছেন সব যড়যন্ত্র। রাজনৈতিক উদ্দেশে মিথ্যা প্রচার করা হচ্ছে।”
|