কামতেশ্বরে পর্যটন ‘হাব’
শীতলখুচির লালবাজারের প্রাচীন কামতেশ্বর গড় ও লাগোয়া এলাকাকে কেন্দ্র করে কৃষি পর্যটন হাব গড়ার পরিকল্পনা করেছে জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার ওই পরিকল্পনা চূড়ান্ত করতে শীতলখুচি বিডিও অফিসে জেলা প্রশাসনের পদস্থ কর্তা, বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন রাজ্যের বনমন্ত্রী তথা এলাকার বিধায়ক হিতেন বর্মন। ওই বৈঠকে কোচবিহারের জেলাশাসক মোহন গাঁধী, শীতলখুচির বিডিও সুধাংশু পাইক ছাড়াও কৃষি, বন, রেশম, মস্য দফতরের কর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরে তাঁরা কৃষি পর্যটন কেন্দ্রের জন্য প্রস্তাবিত ওই গড় ও লাগোয়া এলাকা পরিদর্শন করেন। বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন বলেন, “প্রাচীন কামতেশ্বর গড়কে কেন্দ্র করে কৃষি পর্যটন হাব গড়ার পরিকল্পনা নিয়ে এদিনের বৈঠকে বিশদে আলোচনা হয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করা গেলে বিকল্প কর্মসংস্থানের পাশাপাশি এলাকার পর্যটক আকর্ষণ বাড়বে।” প্রশাসন সূত্রেই জানা গিয়েছে, শীতলখুচি বিডিও অফিস থেকে প্রায় ১০ কিমি দূরে কামতেশ্বরের প্রাচীন গড় রয়েছে। ওই লাগোয়া এলাকায় জিরো খতিয়ানের প্রায় ১৭০ একর জমি রয়েছে। জলাভূমি, গাছগাছালি ও সবুজে ঘেরা ওই গড় দেখতে উসাহী মানুষ ভিড় করেন। পরিকল্পনা মাফিক পর্যটন কেন্দ্র গড়ে না ওঠায় ওই ব্যাপারে তেমন প্রচার হয়নি।
—নিজস্ব চিত্র।
রাজ্যের নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পরে শীতলখুচির বিধায়ক হিতেন বর্মন বনমন্ত্রী হন। তার পরেই এলাকার বাসিন্দাদের দাবি মেনে ওই গড়কে কেন্দ্র করে এলাকার যুবকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়াতে উদ্যোগ নেন বনমন্ত্রী। বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন বলেন, “এ দিনের বৈঠকে ওই ১৭০ একর জমি সংশ্লিষ্ট দফতরের মধ্যে ভাগ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওই দফতরগুলি নিজস্ব এলাকায় কী কাজ করা যাবে সে ব্যাপারে প্রকল্প তৈরি করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাবেন। সে সব দেখেই পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হবে। আগামী দুই-তিন মাসের মধ্যে কাজ শুরুর চেষ্টা হচ্ছে।” সেই সঙ্গে বনমন্ত্রী জানান, বন দফতর ওই চত্বরে পার্ক তৈরির জন্য ইতিমধ্যে ১০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। প্রশাসন সূত্রেই জানা গিয়েছে, কৃষি পর্যটন হাবের মাধ্যমে গড় লাগোয়া এলাকায় ফুল ও ফল চাষ, পশুপালন, মস্য চাষ, ওষুধি গাছের বাগান, রেশম চাষ, জলাশয়ে নৌকাবিহার, পার্ক তৈরির মত একাধিক প্রকল্প করার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। এদিনের বৈঠকে পর্যটন দফতরের মাধ্যমে গলফ কোটর্র্ গড়ার ব্যাপারেও আলোচনা হয়। শীতলখুচির বিডিও সুধাংশু পাইক বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে প্রাচীন কামতেশ্বর গড় ও লাগোয়া জিরো খতিয়ানের বিপুল জমি কার্যত পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সব দফতরের মেলবন্ধন করে গড়ের ঐতিহ্য অক্ষুণ্ণ রেখে আমরা ওই সব প্রকল্প করতে চাইছি। এতে পর্যটকদের কাছে এলাকার আকর্ষণ বাড়ানো যাবে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়বে। এলাকার আর্থ সামাজিক ছবিও অনেকটাই বদলে যাবে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.