আজ, বুধবার থেকে টানা দু’দিনের ব্যাঙ্ক ধর্মঘট শুরু হচ্ছে দেশ জুড়ে। যার ডাক দিয়েছে ইউনাইটেড ফোরাম অফ ব্যাঙ্ক ইউনিয়ন্স (ইউএফবিইউ)। শুধুমাত্র রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কই নয়, ধর্মঘটের আওতায় রাখা হয়েছে বেসরকারি ও বিদেশি ব্যাঙ্কগুলিকেও। ফলে সব মিলিয়ে এই দু’দিন ধরে দেশে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা পুরোপুরি বিকল হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তো রয়েছেই। আর সেই সঙ্গে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বাড়িয়ে ব্যাহত হতে পারে এটিএম পরিষেবাও। ইউনিয়ন নেতাদের দাবি, ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রে সংস্কার আনার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার যে আইন তৈরি করতে উদ্যোগী হয়েছে, তার বিরোধিতা করতেই এই ধর্মঘট। আজই সংসদে পেশ হওয়ার কথা এই ‘ব্যাঙ্কিং আইন সংশোধন বিল, ২০১১’। এটি আইনে পরিণত হলে ব্যাঙ্কিং শিল্পে বেসরকারি দখল বাড়বে বলে আশঙ্কা সংগঠনগুলির। যা বিঘ্নিত করবে আমজনতার লগ্নির নিরাপত্তা। ধমর্র্ঘটের এই দু’দিনে এটিএম পরিষেবাও ব্যাহত হতে পারে। ইউএফবিইউ-র আহ্বায়ক গৌতম বসুর দাবি, “এটিএমের নিরাপত্তারক্ষীরাও আমাদের ইউনিয়নে রয়েছেন। তাই তাঁরাও ধর্মঘটে সামিল হবেন। ফলে এটিএমগুলিও বন্ধ থাকবে।” তবে এটিএমের ব্যাপারে বিভিন্ন ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের দাবি, তাঁরা মঙ্গলবারই সেগুলিতে টাকা ভরে রেখেছেন। তবে বুধবার তা দিয়ে কাজ চললেও বৃহস্পতিবার কী হবে, সে ব্যাপারে তাঁরা নিশ্চিত ভাবে কিছু বলতে পারেননি। কারণ, বুধবার ধর্মঘটের দিন এটিএমে টাকা ভরা সম্ভব হবে কি না, সে ব্যাপারে তাঁরা নিশ্চিত নন। তবে নিরাপত্তারক্ষীরাও ধর্মঘটে সামিল হলে এটিএমগুলির দরজা আদৌ খোলা যাবে কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে সাধারণ মানুষের।
|
আরও কিছুটা কমলো ক্রেতাদের খুচরো বাজার দরের ভিত্তিতে হিসাব করা মূল্যবৃদ্ধির হার। জুলাইয়ে তা নেমে এল ৯.৮৬ শতাংশে। তবে তা মানুষের দৈনন্দিন খরচের বোঝা কতটা কমাতে পারবে, তা নিয়ে সন্দিহান বিশেষজ্ঞরা। কারণ সেই শাক-সব্জির চড়া দর। দেশের কিছু অংশে খরার আশঙ্কাই সব্জির দামকে টেনে তুলছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা। মঙ্গলবার প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বার্ষিক ভিত্তিতে সব্জির দামই বেড়েছে সবচেয়ে বেশি হারে, ২৭.৩৩%। তার পরেই ভোজ্যতেল, ১৭.৩৭% এবং ডাল ও ডালজাত পণ্য ১২.৪৯%। ডিম-মাছ-মাংসের দাম বেড়েছে ১১.১১% করে। চিনির দামও জুলাইয়ে বেড়ে গিয়েছে ৯.০৬%। এর আগে জুনেও খাদ্য সামগ্রীর দাম বাড়ে ২৭.৬০%। খুচরো বাজারের দামের ভিত্তিতে করা মূল্যবৃদ্ধির এই হিসাবে খাদ্যপণ্যের গুরুত্বই সর্বাধিক, ৪৩%। গত জুনে খুচরো বাজারের মূল্যবৃদ্ধির হার অবশ্য সংশোধনের পর কিছুটা কমে দাঁড়িয়েছে ৯.৯৩%। প্রাথমিক হিসাবে তা ছিল ১০.০২%। মে মাসের হার ছিল ১০.৩৬%।
উল্লেখ্য, ব্রিক্স গোষ্ঠীর দেশগুলির মধ্যে এখন ভারতেই মূল্যবৃদ্ধি সবচেয়ে চড়া। ভারত ছাড়া এই দেশগুলির মধ্যে রয়েছে ব্রাজিল, রাশিয়া, চিন এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। |