|
|
|
|
বিএডে আসন বাড়ল বিশ্বভারতীতে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শান্তিনিকেতন |
অবশেষে বিশ্বভারতীর বিনয় ভবনের বিএড পাঠক্রমের আসন সংখ্যা ১০০ থেকে বেড়ে ২০০ হল। মঙ্গলবার এনসিটিই-র (ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশন) পূর্বাঞ্চলীয় দফতর ভূবনেশ্বরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিনয় ভবনের অধ্যক্ষ বেণুধর চিন্নারা বলেন, “এনসিটিই সদস্য তথা বিনয় ভবনের প্রাক্তন অধ্যক্ষ ব্রজনাথ কুণ্ডুর কাছ থেকে আসন বৃদ্ধির কথা জানতে পেরেছি। হাতে চিঠি পেলে সেই মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” এ দিনই বিনয় ভবনে নতুন শিক্ষাবর্ষে ভর্তির জন্য ১০০ জনের একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। বিশ্বভারতী সূত্রে জানা গিয়েছে, এনসিটিই-র থেকে চিঠি পাওয়ার ৭ দিনের মধ্যে আরও ১০০ জনের মেধা তালিকা প্রকাশ করা হবে।
ছাত্রছাত্রীদের একটা বড় অংশ দীর্ঘদিন ধরে বিনয় ভবনের বিএড পাঠক্রমে আসন সংখ্যা বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে আসছিলেন। চলতি শিক্ষাবর্ষে ১০০ আসনের মেধা তালিকা প্রকাশের বিরোধিতা করে দীর্ঘদিন বিনয় ভবনে তালা ঝুলিয়ে রেখেছিলেন ছাত্রপরিষদের আন্দোলনকারীরা। বিশ্বভারতী ছাত্র পরিষদের ইউনিট সভাপতি সুদীপ্ত গড়াই বলেন, “আমরা খুশি। ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে ২০০ আসন হয়েছে। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ও এনসিটিই কর্তৃপক্ষ আমাদের দাবি সহানুভূতির সঙ্গে বিচার করেছেন।” আসন বৃদ্ধির অনুমতি চেয়ে গত ১৪ জুলাই রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও এনসিটিইকে চিঠি দিয়েছিল বিশ্বভারতী। এনসিটিই সূত্রে খবর, আগামী দু’দিনের মধ্যে সংস্থার ওয়েবসাইটে বিশ্বভারতীর বিএডে ২০০ আসন আনুমোদনের কথা সরকারি ভাবে প্রকাশ পাবে।
প্রসঙ্গত, আগে নিয়ম না মেনে এনসিটিই-র অনুমোদন ছাড়াই বিনয় ভবনে বিএডে ২৭২ জনকে ভর্তি নিত বিশ্বভারতী। ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষে পরিদর্শনে এসে অনুমোদন বাতিল করার কথা জানায় এনসিটিই। এরপরেই নড়েচড়ে বসেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষে বিএডে ভর্তি প্রক্রিয়া পিছিয়ে যায়। প্রায় মাস ছ’য়েক পরে ছাত্রপরিষদের আন্দোলনের জেরে তৎকালীন উপাচার্য রজতকান্ত রায় বিএডে ১০০ আসনের জন্য সমস্ত নিয়ম মেনে ছাত্রছাত্রী ভর্তির ব্যবস্থা করেন। |
|
|
|
|
|