একটি দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে বর্ধমানের মেহেদিবাগানে বিবাদে জড়াল তৃণমূলের স্থানীয় দু’টি গোষ্ঠী। দু’পক্ষই অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সেখানে জড়ো হয়েছিল বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জা। |
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, স্টেশন লাগোয়া চৌধুরীবাজারের মুখে একটি ফলের দোকানের পাশে আরও একটি দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে গোলমালের সূত্রপাত। এলাকার তৃণমূল নেতা সেলিম খান গোষ্ঠীর লোকেরা নতুন এই দোকানটি বসাতে গিয়েছিল। এ নিয়ে তাঁদের সঙ্গে দলের স্থানীয় আর এক নেতা ইফতিকার আহমেদ ওরফে পাপ্পুর অনুগামীদের মধ্যে গোলমাল শুরু হয়। দু’পক্ষেরই বেশ কিছু লোকজন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মেহেদিবাগানে জড়ো হয়। খবর পেয়ে পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন এসডিপিও অম্লানকুসুম ঘোষ। দু’পক্ষের লোকজনকে তাড়া করে ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ।
সেলিম খানের দাবি, “বছরখানেক আগেও ইউনিস খান নামে এক প্রতিবন্ধীর ওই জায়গায় দোকান ছিল। তাঁকে অন্যায় ভাবে উচ্ছেদ করা হয়েছিল। তাঁকেই নতুন ভাবে ব্যবসা করার বন্দোবস্ত করে দিতে চেয়েছিলাম আমরা। এ জন্য কেন অপর পক্ষের লোকেরা অস্ত্র নিয়ে আমাদের সমর্থকদের তাড়া করল, জানি না।” |
ইফতিকার আহমেদের পাল্টা দাবি, “সেলিম খান ও মেহেবুব রহমানের নেতৃত্বে ওই জায়গায় গত কয়েক দিন ধরেই জায়গা দখল হচ্ছিল। এ দিন ওই গোষ্ঠীর সমর্থকেরা গিয়ে নতুন করে দোকানের বিলি-ব্যবস্থা হবে বলে দাবি করে। বাসিন্দারা তার প্রতিবাদ করায় ওই গোষ্ঠীর লোকেরাই মারধরের হুমকি দেয়।” পুলিশকে জানিয়েও ফল মেলেনি বলে তাঁর অভিযোগ। |