মেমারির দেবীপুর সমবায় সমিতিতে পরিচালন সমিতির ভোটে মনোনয়ন জমা দিতে গিয়ে আক্রান্ত হলেন সিপিএমের নেতা-কর্মীরা। হাসপাতালে ভর্তি তিন জন। অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। যদিও তাদের দাবি, সামান্য ‘ঠেলাঠেলি’ হয়েছে মাত্র। পুলিশও একই দাবি করেছে।
ঘটনা মঙ্গলবার দুপুরের। এ দিনই ছিল মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। সেখান থেকে ফেরার পথে তৃণমূলের কিছু লোকজন সিপিএমের নেতা-কর্মীদের উপরে চড়াও হয় বলে অভিযোগ। দলের মেমারি-১ পূর্ব লোকাল সম্পাদক জগন্নাথ গঙ্গোপাধ্যায়, জেলা পরিষদ সদস্য মদন ক্ষেত্রপাল ও মেমারি-১ পঞ্চায়েতের শিক্ষা কর্মাধক্ষ গুরুতর আহত হন। তিন জনেই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। তাঁদের প্রথমে মেমারি গ্রামীণ হাসপাতাল, সেখান থেকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। মদনবাবুর অবস্থা বেশি গুরুতর। |
সিপিএমের দাবি, ওই তিন নেতা ছাড়াও আরও ১০-১২ জন আহত হয়েছেন। এঁদের অন্যতম, দলের মেমারি-১ জোনাল কমিটির সদস্য সনৎ ক্ষেত্রপাল বলেন, “এ দিন আমাদের প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিতে গিয়ে জানতে পারেন, ভোটার তালিকায় এক ভোটারের নাম বাদ পড়ায় ওখানে নির্বাচন হবে না। রিটার্নিং অফিসার এ কথা লিখে দেওয়ার পরে আমাদের লোকেরা ফিরে আসছিলেন।” তাঁর অভিযোগ, “গোবিন্দপুরের কাছে ট্রাক্টরে চড়ে আসা তৃণমূলের লোকেরা আমাদের উপরে লাঠি-রড নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। গোবিন্দপুর, তাহেরপুর ইত্যাদি এলাকার তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরাই এতে জড়িত। পুলিশের সামনেই আমাদের প্রার্থী ও নেতাদের উপর হামলা চালানো হয়েছে।” মেমারির তৃণমূল বিধায়ক আবুল হাসেম মণ্ডল অবশ্য পাল্টা বলেন, “ওই সমবায়ে যাঁরা নতুন সদস্য হতে চান, তাঁদের থেকে টাকা জমা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাঁদের সদস্য করা হয়নি। এই ভোটার তালিকায় নাম না ওঠা সদস্যের সংখ্যা অন্তত শতাধিক। তাঁদের নাম না ওঠা পর্যন্ত নির্বাচন স্থগিত রাখতে বলেছিলাম আমরা। তাতেই সিপিএমের লোকেরা উত্তেজিত হয়ে আমাদের মারতে আসে। দু’পক্ষে শুধু ঠেলাঠেলি হয়েছে।” মেমারি থানার ওসি পার্থ ঘোষও বলেন, “তেমন বড় মারপিট হয়নি। দেবীপুর শিবতলার কাছে ঠেলাঠেলি, কিল-চড় মারা হয়েছে ওই নেতাদের। পুলিশ থাকায় বড় গোলমাল ঘটেনি।” |