শিলিগুড়ি-বামনহাট ‘ডিএমইউ’ ট্রেনের সময়সূচি নিয়ে দিনহাটার বাসিন্দা ও নিত্যযাত্রী মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ওই ব্যাপারে সরব হয়েছেন দিনহাটা মহকুমা ব্যবসায়ী সমিতি ও দিনহাটা মহকুমা নাগরিক উন্নয়ন মঞ্চের কর্তারা। তাদের অভিযোগ, শিলিগুড়ি থেকে প্রতিদিন ওই ট্রেনটির রাত সওয়া ৯ টায় দিনহাটা পৌঁছনোর কথা। কিন্তু প্রায় দুই মাস ধরে চালু হওয়া ট্রেনটি বেশিরভাগ দিনই রাত এগারোটার পরে দিনহাটা পৌঁছয়। মাঝে মাঝে রাত ১২ টা, এমনকী আড়াইটাতেও ট্রেনটি দিনহাটায় পৌঁছয় বলে অভিযোগ। ঘটনার প্রতিবাদে দিনহাটা স্টেশনে আগামী ২৫ অগষ্ট সমিতির তরফে অবস্থান বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয়েছে। দিনহাটা মহকুমা ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক রাণা গোস্বামী বলেন, “ডিএমইউ পরিষেবা নিয়ে যাত্রীদের ভোগান্তি চরমে উঠেছে। নির্ধারিত সময়সূচি মেনে ট্রেনটি না চলা রুটিন ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।” দিনহাটা নাগরিক উন্নয়ন মঞ্চের আহ্বায়ক জয়গোপাল ভৌমিক বলেন, “শুরু থেকেই ট্রেনটি সময়সূচি মেনে দিনহাটায় ফিরছে না। এতে বাসিন্দাদের সমস্যায় পড়তে হয়েছে। দ্রুত সমস্যা মেটানো না হলে আমরাও রোজ ওই ট্রেনটিকে ১০ মিনিট করে আটকে প্রতিবাদ জানাব।” দিনহাটার বাসিন্দা ও নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ, ট্রেনটিতে চিকিৎসা, ব্যবসা সংক্রান্ত নানা কাজ ছাড়াও বহু বাসিন্দা রোজ যাতায়াত করেন। দিনহাটা শহরের তো বটেই গোসানিমারি, নিগমনগর, পেটলা, চৌধুরীহাট সহ বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দারা ওই ট্রেনে যাতায়াত করে। দিনহাটার বাসিন্দা দীপ্তিমান সেনগুপ্ত বলেন, “নানা কাজে শিলিগুড়ি যেতে হয়। ওই ট্রেনে চেপে কোনওদিনই রাত ১১ টার আগে দিনহাটা স্টেশনে পৌঁছতে পারিনি। ওই সময় রিকশাও পাওয়া যায় না। রাস্তাঘাট শুনশান হয়ে যায়। মহিলাদের বাড়ি ফেরা আরও সমস্যা হয়ে যায়।” রেলের যাত্রী সুরক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান জোয়াকিম বাক্সলা বলেন, “ওই ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে সমস্যা মেটাতে উদ্যোগ নেব।”
|
‘বশীকরণ’ শেখানোর নাম করে ডেকে নিয়ে গলায় সাপ পেঁচিয়ে এক ওষুধ ব্যবসায়ীকে খুনের অভিযোগে এক যুবক ও তার সঙ্গীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার রাতে উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুরে ঘটনাটি ঘটে। নিহতের নাম সুকুমার দেবনাথ (৩৫)। বাড়ি ক্ষুদিরামপল্লি এলাকায়। রাতে তাঁকে ফোন করে শ্মশানে ডেকে পাঠান জয়দ্রথ ভদ্র ও সুব্রত বিশ্বাস নামে ধৃত দুই যুবক। জয়দ্রথ এলাকায় নিজেকে ‘তান্ত্রিক’ পরিচয় দিয়ে থাকেন। এলাকাবাসীরা অনেকেই তাঁকে গলায় সাপ পেঁচিয়ে শহরের রাস্তায় ঘুরে বেড়াতে দেখেন। সুব্রত তাঁর সহকারী। মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সুবিমল পাল বলেন, “সুকুমারের গলায় সাপ পেঁচিয়ে মন্ত্র পড়ার ঘটনা সুব্রত আমাদের কাছে স্বীকার করেছে। সুকুমারের ঘাড়ে সাপের ছোবলের দাগ মিলেছে। দু’জনের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে।” পুলিশ জানায়, সুকুমারের ওষুধের দোকান শহরের যে এলাকায় সেই শান্তিনগরেই জয়দ্রথ ও সুব্রতর বাড়ি। জয়দ্রথ তন্ত্রমন্ত্র করে সংসার চালান। বাড়িতে বিষধর সাপ রাখেন। সম্প্রতি তাঁর কাছে সাপকে বশ করার বিদ্যে শিখতে সুব্রত সহকারী হিসাবে যোগ দেন। গলায় সাপ নিয়ে ঘুরতে দেখে সুকুমার বন্ধুত্ব করেন জয়দ্রথের সঙ্গে। রবিবার রাতে জয়দ্রথ মোবাইলে সুকুমারকে জরুরি কাজের নাম করে ডেকে পাঠান বলে অভিযোগ করেছেন নিহতের স্ত্রী মিলি দেবী।
|
গভীর রাতে বাড়ি থেকে এক মহিলাকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী যুবকের বিরুদ্ধে। রবিবার রাত ৩টে নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে মালদহ থানার বাবনাপাড়া গ্রামে। ধর্ষিতা মহিলা গ্রামের এক দিনমজুরের স্ত্রী। এ দিন সকালে মহানন্দা নদীর পাড় থেকে এক মহিলা ধর্ষিতাকে উদ্ধার করেন। সকাল ৯টা নাগাদ ওই মহিলা থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশ অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে বলে অভিযোগ। শেষ পর্যন্ত স্থানীয় কংগ্রেস বিধায়ক অর্জুন হালদারের চাপে রাত ৯টা নাগাদ পুলিশ অভিযোগ জমা নেয়। মহিলাকেও ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। পুলিশ সুপার জয়ন্ত পাল অবশ্য দাবি করেছেন, “রাত ৮টা নাগাদ আমরা ধর্ষণের ঘটনাটি জানতে পারি। তখনই মহিলার অভিযোগ জমা নেওয়ার ব্যবস্থা করি। সকালেই অভিযুক্ত পালিয়ে গিয়েছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।”
|
রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যোয়ের ছেলে বিধায়ক অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় বালুরঘাট ঘুরে গেলেন। রবিবার রাতে অভিজিৎবাবু বালুরঘাট সার্কিট হাউসে আসেন। সোমবার তিনি হিলি সীমান্তে যান। সেখানকার হাড়িপুকুর এলাকা ঘুরে দেখেন। কংগ্রেসের কোনও নেতার সঙ্গে তিনি দেখা করেননি। তিনি বালুরঘাটে এক বন্ধুর বাড়িতে দুপুরের খাবারের পর ট্রেনে মালদহে যান। |