মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেই চলেছেন মন্ত্রীসভা থেকে পদত্যাগ করা কংগ্রেস বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তী।
সোমবার, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি তাঁর কটাক্ষ, ‘সরকারি অর্থে দলীয় সভা’ করার। এ দিন রীতিমতো সাংবাদিক সম্মেলন করে মনোজ বলেন, “সরকারি টাকায় জেলায় জেলায় দলীয় জনসভা করে বেড়াচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। আগামী ২৯ অগস্ট তেমনই এক দলীয় সভা করতে বহরমপুর আসছেন মুখ্যমন্ত্রী।” মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর ওই দিনই মুর্শিদাবাদে তাঁর প্রথম সভা। ওই দিন বহরমপুর ব্যারাক স্ক্যোয়ার মাঠে সরকারি জনসভা করবেন তিনি।
সোমবার থেকেই জেলা কংগ্রেস এ ব্যাপারে সমালোচনা শুরু করে দিল। এ দিন কংগ্রেসের জেলা কার্যালয়ে মনোজ চক্রবর্তী বলেন, “সরকারি টাকা নয়ছয় করে মুখ্যমন্ত্রী সরকারি সভার নামে দলীয় সভা করবেন। তার জন্য স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের সরকারি টাকায় বাসে করে ব্যারাক স্ক্যোয়ারে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রশাসনিক ব্যস্ততা শুরু হয়ে গিয়েছে। এ ছাড়াও ‘আমার বাড়ি’ প্রকল্পের উপভোক্তাদের ও সরকারি জমির পাট্টা প্রাপকদেরও ওই সভায় সরকারি টাকায় নিয়ে যাওয়া হবে। টিফিন দেওয়া হবে। ”
তাঁর কটাক্ষ, “আসলে মুর্শিদাবাদ জেলায় তৃণমূলের পায়ের তলায় মাটি নেই। দলীয় সভায় লোক জোটানো সমস্যা। তাই সরকারি সভার নামে সরকারি টাকায়, সরকারি ব্যবস্থাপনায় দলীয় সভার আয়োজন করা হচ্ছে।”
এ ব্যাপারে মৎস্য দফতরের প্রতিমন্ত্রী তথা মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘির তৃণমল বিধায়ক সুব্রত সাহা বলেন, “জ্ঞানে অভাবের জন্য, রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা না থাকার কারণে ওই রকম আজেবাজে অভিযোগ তুলছেন ওই বিধায়ক। ওই সব অভিযোগের কোনও জবাবই হয় না।”
শুধু প্রশাসনিক উদ্যোগে সভা করাই নয়, কংগ্রেসের ওই ‘বিদ্রোহী’ বিধায়কের অভিযোগ “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে মুকুল রায়, রেল মন্ত্রকের বদান্যতা থেকে মুর্শিদাবাদ বরাবর বঞ্চিত। তিনি নাকি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উন্নতি চান! মুশির্দাবাদ যে সংখ্যালঘু অধুষ্যিত তা সারা দেশ জানে। অথচ সেই জেলায় তাঁর সরকার ও প্রশাসনের সদিচ্ছার অভাবে আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস নির্মাণ কিংবা মেডিক্যাল কলেজ গড়তে এক বছর সময় নষ্ট হল। রেলের কয়েকটা ওভার ব্রিজ তৈরি করে জেলার মানুষকে যানজট থেকে মুক্তিও দেওয়া হল না।”
|