টুকরো খবর
পলিটেকনিকে ‘বদলি নীতি’ ভাঙা হচ্ছে, অভিযোগ
পলিটেকনিক কলেজের বদলি হওয়া শিক্ষকদের একাংশ ‘ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক’ প্রভাব খাটিয়ে পুনরায় তাঁদের পুরনো কলেজে ফিরে এসেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে পলিটেকনিক কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের একাংশ ভীষণ ক্ষুব্ধ। বিষয়টি নিয়ে আজ, মঙ্গলবার ক্ষুব্ধ শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা কারিগরী শিক্ষা মন্ত্রী রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হচ্ছেন। তৃণমূল ক্ষমতায় এসেই দীর্ঘ দিন কলকাতা বা আশপাশে জেলায় কাজ করা পলিটেকনিক কলেজের শিক্ষকদের বাধ্যতামূলক ভাবে উত্তরবঙ্গ বা দূরবর্তী জেলায় বদলি করে। কারিগরী মন্ত্রী রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়ের তত্ত্বাবধানে এই ‘বদলি নীতি’ চালু হয়। বামফ্রন্টের আমলে ২০-২৫ বছর ধরে একই কলেজে কাজ করা শিক্ষকদেরও বদলি করা হয়। মূলত ২০১১ সালের অগস্ট-সেপ্টেম্বর থেকেই এই বদলি-নীতি কার্যকর হয়। কিন্তু ছ’মাসের মধ্যেই বেশ কিছু শিক্ষক প্রভাব খাটিয়ে পুনরায় তাঁদের পুরনো কলেজে ফিরে এসেছেন। ক্ষুব্ধ শিক্ষকদের প্রশ্ন যেখানে মুখ্যমন্ত্রী বার বার স্বচ্ছ প্রশাসনের কথা বলছেন, তখন কী করে এটা সম্ভব? রবিরঞ্জনবাবুর নির্দেশে রাজ্যের সকল পলিটেকনিক কলেজকে পাঁচটি অঞ্চলে (জোন) ভাগ করা হয়েছে। এ, বি সি, ডি, ই। উত্তরবঙ্গকে রাখা হয়েছে ‘ই’ জোনে। নতুন বদলি-নীতি অনুযায়ী সকল কলেজ শিক্ষককে কর্মজীবনের তিন বছর বাধ্যতামূলক ভাবে উত্তরবঙ্গে থাকতে হবে। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে, ‘ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক’ প্রভাব খাটিয়ে বেশ কিছু শিক্ষক কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় তাঁদের পুরনো কলেজে ফিরে এসেছেন। তা নিয়েই ক্ষুব্ধ কর্মীরা আজ মন্ত্রীর দ্বারস্থ হচ্ছেন।

সড়ক সারাতে সমীক্ষা, চাওয়া হল আগ্রহপত্র
সরকারি-বেসরকারি (পিপিপি) যৌথ উদ্যোগে রাজ্য সড়কের উন্নয়ন করতে চায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। মোট সাড়ে চার হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ রাজ্য সড়কের কতটা অংশে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ বা পিপিপি মডেলে উন্নয়নের কাজ করা যেতে পারে, তা সমীক্ষা করে দেখার জন্য পরামর্শদাতা সংস্থাগুলির কাছে আগ্রহপত্র চাওয়া হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে রাজ্য সড়কের সংখ্যা ১৯। তার মধ্যে পাঁচটি রাজ্য সড়কে সমীক্ষা চালানোর দায়িত্ব ইতিমধ্যেই দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা ‘রাইটস’-কে। এ বার আগ্রহপত্র চাওয়া হল বাকি ১৪টি রাজ্য সড়ক নিয়ে সমীক্ষা চালানোর জন্য। বেসরকারি বিনিয়োগের মাধ্যমে যাতে ওই সব রাস্তার সম্প্রসারণ ও উন্নয়নের কাজ করা যায়, সেই জন্য পূর্ত দফতরের আওতা থেকে বার করে রাজ্য সড়কগুলিকে ইতিমধ্যেই তুলে দেওয়া হয়েছে নবগঠিত পশ্চিমবঙ্গ সড়ক উন্নয়ন নিগম সংস্থার হাতে। পরামর্শদাতা সংস্থাগুলি তাদের প্রাক্-সম্ভাব্যতা সমীক্ষায় বলে দেবে, ১৯টি রাজ্য সড়কের কোন কোন অংশে পিপিপি মডেলে উন্নয়নের জন্য বেসরকারি বিনিয়োগ চাওয়া যাবে। সেই সঙ্গেই তারা বলবে, ওই সব সড়কের বাকি কোন কোন অংশের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের কাজ করতে হবে রাজ্য সরকারকে। পরামর্শদাতা সংস্থার রিপোর্টের ভিত্তিতেই বেসরকারি সংস্থার কাছ থেকে দরপত্র চাওয়া হবে। এক সরকারি মুখপাত্র জানান, রাইটস পাঁচটি (দুই, তিন, চার, পাঁচ এবং বারো-ক) রাজ্য সড়কে সমীক্ষার কাজ শুরু করে দিয়েছে। ওই পাঁচটি সড়কের মোট দৈর্ঘ্য ১০৭৯ কিলোমিটার। আট মাসের মধ্যে তাদের রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.