বধূর অপমৃত্যু, অভিযোগ খুনের চেষ্টার |
অগ্নিদগ্ধ হয়ে এক বধূর মৃত্যুতে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল মৃতার শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে। বধূর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনি অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। ঘটনাটি ঘটেছে গঙ্গাজলঘাঁটি থানার বেলডাঙা গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম শোভা ঘোষ মণ্ডল (২২)। গত বৃহস্পতিবার অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় তাঁকে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। রবিবার রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। শুক্রবার মৃতার বাবা গঙ্গাজলঘাঁটি থানায় শ্বশুরবাড়ির নয় সদস্যের বিরুদ্ধে মেয়েকে হত্যার চেষ্টা করার অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রবিবার ওই বধূর খুড়শ্বশুর স্বপন মণ্ডলক গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, গত বছর বর্ধমানের অন্ডাল থানার মদনপুর গ্রামের বাসিন্দা শোভার সঙ্গে বিয়ে হয় গঙ্গাজলঘাঁটির রাজীব মণ্ডলের। শোভার বাবা গুঁইরাম ঘোষের অভিযোগ, “বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরবাড়ির লোকজন দেনাপাওনার বিষয় নিয়ে খোঁটা দিত আমার মেয়েকে। শারীরিক ও মানসিক ভাবে অত্যাচারও হত।” পুলিশের দাবি, মৃত্যুর আগে বাঁকুড়া মেডিক্যালের এক ডাক্তারকে জবানবন্দি দিয়ে যান শোভা। সেখানে তিনি জানিয়েছেন শ্বশুরবাড়ির লোকজনের নির্যাতনের জেরে আত্মহত্যা করতে নিজের গায়ে তিনিই আগুন দিয়েছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার স্বামী রাজীব, শ্বশুর রসিক মণ্ডল, শাশুড়ি জুড়ানি মণ্ডল-সহ বাকি অভিযুক্তেরা পলাতক। তাঁদের খোঁজ চলছে, দেহটি ময়না তদন্তে পাঠিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
|
ধৃত মাওবাদী স্কোয়াড সদস্য |
নিজস্ব সংবাদদাতা • সারেঙ্গা |
ধৃত মাওবাদী স্কোয়াড সদস্য অভিরাম টুডু (ডান দিকে)। —নিজস্ব চিত্র |
সিপিএম নেতা খুন-সহ নাশকতার একাধিক ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বাঁকুড়ার সারেঙ্গা থেকে এক মাওবাদী স্কোয়াড সদস্যকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃত অভিরাম টুডুর বাড়ি সারেঙ্গা থানার শালুকা গ্রামে। রবিবার রাতে বাড়ি থেকেই বছর পঁয়ত্রিশের ওই যুবককে ধরা হয় বলে পুলিশের দাবি। সোমবার ধৃতকে খাতড়া আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক ৬ দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার মুকেশ কুমারের দাবি, “অভিরাম মাওবাদীদের লালগড় স্কোয়াডের সদস্য। মাওবাদী নেতা সিদো সোরেনের ঘনিষ্ঠ ওই যুবক সারেঙ্গার এক সিপিএম নেতা খুনের ঘটনায় জড়িত। তদন্তের স্বার্থে তাঁকে জেরা করার জন্য হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।” পুলিশ সূত্রের খবর, ২০০৫ সালে মাওবাদী দলে যোগ দেন অভিরাম। পরে লালগড় স্কোয়াডের সদস্য হন। ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি সারেঙ্গার খেপারডাঙা গ্রামের বাসিন্দা, সিপিএমের জোনাল কমিটির সদস্য রঞ্জিত হেমব্রমকে বাড়ি থেকে টেনে বের করে খুন করে মাওবাদীরা। ওই ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত অভিরাম। এ ছাড়াও আরও কয়েকটি নাশকতার ঘটনায় তাঁর জড়িত থাকার খবর পেয়েছে পুলিশ।
|
বাপুকল্যাণ সমিতির শাখা খুলল মুম্বইয়ে |
বাঁকুড়া-পুরুলিয়া ওয়েলফেয়ার সমিতি (বাপুকল্যাণ সমিতি) এ বার পশ্চিমবঙ্গের বাইরে তাদের প্রথম শাখা মুম্বইয়ে শুরু করল। গত ১৮ অগস্ট মুম্বইয়ের দাদর এলাকার শিবাজি পার্কে বেড্রল ক্লাবের হলঘরে সমিতির শাখা উদ্বোধন করেন পুরুলিয়ার বিধায়ক নেপাল মাহাতো। অনুষ্ঠানে পুরুলিয়ার আর এক বিধায়ক উমাপদ বাউরি ছাড়াও ছিলেন দুই জেলার মুম্বইবাসী বাঙালিরা। এই দুই জেলার দরিদ্র মানুষেরা মুম্বইয়ে কম খরচে থাকা, খাওয়া ও চিকিৎসা করাতে পারেন সেই জন্য এখানে শাখা খোলা হলে বলে জানান সমিতির সভাপতি প্রশান্ত কুণ্ডু।
|
আড়াই বছরের এক শিশুকন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে ধরল পুলিশ। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছিল কোতুলপুরের রাধাদামোদরপুর গ্রামে। রবিবার ওই শিশুকন্যার মা পড়শি শেখ সামসুদ্দিনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানালে সন্ধ্যায় তাকে ধরা হয়। সোমবার ধৃত বিষ্ণুপুর আদালতে তোলা হলে ১৪ দিন জেলহাজত হয়। |