নির্বাচনী লড়াইয়ে ছিল না সিপিএম। তবু স্কুলের পরিচালন সমিতির অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ফের প্রকাশ্যে চলে এল বাঁকুড়ার ইন্দাসে। রবিবার ইন্দাস ব্লকের শাসপুর ধীরেন্দ্রনাথ সিংহ উচ্চ বিদ্যালয়ে পরিচালন সমিতির অভিভাবক প্রতিনিধিদের ৬টি আসনে নির্বাচন হয়। তৃণমূলের দু’টি গোষ্ঠীর ১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তৃণমূলের বহিষ্কৃত নেতা তথা প্রাক্তন ব্লক সভাপতি রবিউল হোসেনের গোষ্ঠীর ৬ জন প্রার্থীই বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন। হার মানতে হয়েছে ইন্দাসের বিধায়ক তথা বর্তমান ব্লক তৃণমূল সভাপতি গুরুপদ মেটের প্যানেলের চার জন প্রার্থীকে।
সিপিএম লড়াইয়ে না থাকলেও তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সমর্থিত প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামায় এই ভোটকে ঘিরে টান টান উত্তেজনা ছিল এলাকায়। শাসপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক নীরদবরণ সাম বলেন, “স্কুলে অভিভাবকদের সদস্য সংখ্যা ৯৬৫। তার মধ্যে ৭১০ জন ভোট দিয়েছেন। ৬টি আসনে দু’টি প্যানেলের ১০ জন প্রার্থী ছিলেন একটি প্যানেলের ৬ প্রার্থী জয়ী হয়েছেন।”
এই জয়ে যথেষ্টই উল্লসিত রবিউল হোসেনের অনুগামীরা। ওই গোষ্ঠীর নেতা তথা তৃণমূলের ইন্দাস ব্লক কমিটির সদস্য অসীম সামের কটাক্ষ, “আমাদের গোষ্ঠীর ৬ জন প্রার্থীই বিপুল ভোটে জিতেছেন। এলাকার মানুষ সিপিএমের ‘বি-টিম’কে উচিত শিক্ষা দিয়েছেন!” বিধায়ক গুরুপদ মেটে অবশ্য হার মেনে নিয়ে অভিযোগ করেন, “সিপিএমের সঙ্গে আঁতাঁত করে দলের বিক্ষুদ্ধ গোষ্ঠী ওই স্কুলের ভোটে জয়ী হয়েছে। আমরা সিপিএমের সঙ্গে আঁতাঁত করিনি বলেই হেরেছি।” যদিও সিপিএমের ইন্দাস জোনাল কমিটির সম্পাদক অসীম দাসের দাবি, “গতবার আমরা ওই স্কুলের পরিচালন কমিটির ভোটে জিতেছিলাম। তার পর তৃণমূল গায়ের জোরে সেই কমিটি দখল করে নেয়। সেই অভিজ্ঞতা মাথায় রেখে এবং তৃণমূলের সন্ত্রাসের জন্য এ বার আমরা প্রার্থী দিইনি।” |