একই জায়গায় পুরুষ ও মহিলা পাশাপাশি ঈদের ‘জামাতে’ সামিল। জেলায় এই দৃশ্য ২০০৬ সালে প্রথমে দেখা গিয়েছিল মাড়গ্রামে। সেই রেওয়াজ এখনও চলছে। একই দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি ঘটিয়ে পুরুষদের পাশাপাশি সোমবার ঈদের নমাজে যোগ দিলেন ইলামবাজারের ঘুরিষা পঞ্চায়েত এলাকার নওসন্ডাপাড়া গ্রামের শ’দুয়েক মহিলা। অবশ্যই ওই গ্রামের পুরুষদের উৎসাহে। স্বভাবতই উল্লসিত গ্রামের সকলেই। তাঁরা চাইছেন, প্রথম বছরের থেকেও সামনের বছর ঈদে আরও বড় আকারের হবে জামাত। |
বর্তমান রাজ্য সরকারের প্রাণিসম্পদ বিকাশ ও উন্নয়ন মন্ত্রী নুরে আলম চৌধুরী এবং তাঁর স্ত্রী মমতাজ সঙ্ঘমিত্রা চৌধুরীর উদ্যোগেই মাড়গ্রামে প্রথম ৩০ জন মহিলা পুরুষদের পাশাপাশি ঈদের জামাতে সামিল হয়েছিলেন। এ বারেও সামিল হয়েছেন ৯০ জন মহিলা। যদিও প্রথম মহিলাদের প্রকাশ্যে এসে নমাজ পড়ার ঘটনা জেলায় ঘটেছিল মুরারইয়ে ২০০৫ সালে। এ দিন নওসন্ডাপাড়ায় যিনি সকলকে নমাজ পড়ালেন সেই মৌলানা মহম্মদ হোসেন বলেন, “মহিলাদের ঈদগাহে নমাজ পড়া শরিয়ত সম্মত। আমরা চাই এই রেওয়াজ অন্য জায়গায়ও চালু হোক।” আর গ্রামের যাঁদের উৎসাহে এ দিন এক সঙ্গে নমাজ পড়া হল তাঁদের অন্যতম মহম্মদ ঈশা হক, শেখ শুকুররা বললেন, “শুনেছি বহু জায়গায় ঈদের দিনে নমাজের সময় মহিলারা এক সঙ্গে ঈদগাহে নমাজ পড়েন। তা হলে আমাদের গ্রামের মা-বোনেরাও বঞ্চিত থাকবে কেন। সেই ইচ্ছে থেকেই এই উদ্যোগ।” এ দিন নওসন্ডাপাড়ায় গিয়ে দেখা গেল, ঈদগাহটিকে একটি কাপড়ের আড়াল দিয়ে দু-ভাগে ভাগ করা ছিল। একদিকে মহিলারা অন্যপাশে পুরুষরা নমাজ পড়লেন সুষ্ঠুভাবে। এ বারে ঈদের নমাজ ঈদগাহে পড়তে পেরে খুশি আয়েশা বেগম বা সামসুন্নেহারা বিবিরাও। তাঁদের কথায়, “এ বার একটু অন্য স্বাদ পেলাম। ভাল লাগছে।” |