আতঙ্কে এলাকাবাসী
জীর্ণ জলাধার ভাঙায় গড়িমসি
তঙ্ক! অব্যবহৃত জীর্ণ জলাধার ভেঙে পড়ার আতঙ্কে ঘুম উড়েছে পাশেই গড়ে ওঠা হলদিয়া টাউনশিপের সেক্টর তেরোর ‘কল্লোল’ আবাসনের বাসিন্দাদের। প্রায় ২০ বছর ধরে অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকা হিন্দুস্থান ফার্টিলাইজার কর্পোরেশনের (এইচএফসি) ৯০ ফুট উঁচু জলাধারটি কে ভাঙবে, তা নিয়ে দীর্ঘ দিন টানাপোড়েন চলেছে হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদ ও বন্দর কর্তৃপক্ষের মধ্যে। অবশেষে বন্দর ভাঙতে রাজি হলেও আতঙ্ক কাটছে না স্থানীয় বাসিন্দাদের।
১৯৭৩ সালে এইচএফসি-র আবাসন গড়ে ওঠার সময়েই তৈরি করা হয়েছিল এই জলাধারটি। আবাসনের প্রায় ৫ হাজার পরিবারে পানীয় জল পৌঁছে যেত এই জলাধার থেকে। ১৯৮৭ সাল থেকে হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের উদ্যোগে গেঁওখালিতে জলপ্রকল্পের মাধ্যমে জল সরবরাহ শুরু হয় এই এলাকাতেও। সুউচ্চ জলাধারে সেই জল তোলার জন্য উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন পাম্পে বাড়তি খরচ করতে চায়নি এইচএফসি। ক্রমশ অকেজো হয়ে পড়ে সুবিশাল জলাধারটি। এইচএফসি আবাসনের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত সতীনাথ ভট্টাচার্যের কথায়, “দেখভালের অভাবে জলাধারটির জীর্ণ দশা। ভেঙে ফেলার জন্য কোনও উদ্যোগ চোখে পড়ছে না। এখন টেন্ডার ডাকার কথা শুনলেও আদপে কাজ হবে বলে মনে হচ্ছে না।”
১৯৯১ সাল থেকে অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে জলাধারটি। দীর্ঘ ২০ বছরে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে প্লাস্টার খসে পড়ছে। বেরিয়ে থাকা লোহার কাঠামোতে মরচে ধরেছে। যে কোনও মুহূর্তে সুবিশাল এই জলাধার ভেঙে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা এলাকাবাসীর। জলাধারের ঠিক পিছনের কল্লোল আবাসনের বাসিন্দা দেবেশ আদকের অভিযোগ, “জলাধারটি ভেঙে ফেলার আবেদন নিয়ে বহুবার আমরা পুরসভা ও বন্দরের কাছে গিয়েছি। প্রত্যেকেই টালবাহানা করায় কাজ এগোয়নি।
বন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, টেন্ডার ডাকার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ঠিক হয়েছে, যে ঠিকাদার এই কাজটি করবে তাঁকে অর্থের বদলে ভেঙে ফেলা সরঞ্জাম দিয়ে দেওয়া হবে। এমনকী এই বাবদ ঠিকাদারের কাছ থেকে কিছু টাকা পাওয়ার আশাও করছে বন্দর।বন্দরের প্রশাসনিক আধিকারিক অমল দত্ত বলেন, “জলাধারটি ভেঙে ফেলার অনুমোদন গৃহীত হয়েছে ১৫ দিন আগেই। খুব শীঘ্রই কাজ শুরু হবে। ঠিকাদারকে ভাঙার খরচের বদলে ভাঙা সরঞ্জাম দিয়ে দেওয়ার চুক্তিতে বরাত দেওয়া হবে।” কিন্তু বন্দরের এই শর্তে ঠিকাদাররা কতখানি আগ্রহ প্রকাশ করবে, তা নিয়ে সংশয় থাকছেই।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.