দুষ্কৃতী হামলায় গুরুতর জখম হলেন ঝাড়গ্রাম শহরের এক ব্যবসায়ী। রবিবার রাতে ঝাড়গ্রাম শহরের উপকন্ঠে পেপার মিল মোড় এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। প্রবীর মণ্ডল ওরফে পিন্টু নামে বছর ত্রিশের ওই ব্যবসায়ী আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। হামলাকারীরা পিন্টুবাবু ও তাঁর এক বন্ধুর মোবাইল ফোন, গলার রুপোর চেন ও নগদ টাকা লুঠ করে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের দাবি, নিছক ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে এই হামলা হয়নি। ঘটনার পিছনে অন্য কারণ রয়েছে। শহরের চণ্ডীপুরের বাসিন্দা পিন্টুবাবু অবশ্য কথা বলার মতো অবস্থায় নেই। |
রবিবার রাতে ঘটনার সময় পিন্টুবাবুর সঙ্গে ছিলেন তাঁর বন্ধু শহরেরই বেনাগেড়িয়া এলাকার বাঁধপাড়ের বাসিন্দা শীতল পাল। শীতলবাবুও ব্যবসায়ী। ঝাড়গ্রাম থানায় দায়ের করা অভিযোগে শীতলবাবু দাবি করেছেন, রাত ৯টা নাগাদ তিনি ও পিন্টুবাবু একটি মোটর সাইকেলে চেপে ঝাড়গ্রাম শহর থেকে দুবরাজপুর গ্রামের দিকে যাচ্ছিলেন। শীতলবাবুর বাইকটি চালাচ্ছিলেন পিন্টুবাবু। শহরের উপকণ্ঠে পেপার মিল মোড়ে ৫-৬ জন সশস্ত্র দুষ্কৃতী তাঁদের থামিয়ে বেধড়ক মারধর করার পর মোবাইল ফোন, নগদ টাকা, গলার রুপোর চেন কেড়ে নেয়। বাধা দিতে গেলে পিন্টুবাবুর মাথায় লোহার রড দিয়ে মারে দুষ্কৃতীরা। লুঠপাট চালিয়ে হামলাকারীরা চম্পট দেওয়ার পরে রক্তাক্ত ও সংজ্ঞাহীন পিন্টুবাবুকে কোনও রকমে মোটর সাইকেলে চাপিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যান শীতলবাবুই। পিন্টুবাবুকে হাসপাতালের মেল সার্জিক্যাল ওয়ার্ডে ভর্তি করানো হয়। শীতলবাবুকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। রবিবার রাতে শীতলবাবুর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে ঝাড়গ্রাম থানার পুলিশ।
ঘটনার সূত্র ধরে শীতলবাবুকে দফায় দফায় জেরা করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রের খবর, রবিবার রাতে পিন্টুবাবুকে কী কারণে দুবরাজপুরে নিয়ে যাচ্ছিলেন, সেই সদুত্তর দিতে পারেননি শীতলবাবু। সংবাদমাধ্যমেও বিষয়টি তিনি এড়িয়ে গিয়েছেন। হামলাকারীদের খোঁজে পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে। এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি। পিন্টুবাবু সুস্থ হওয়ার পর তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে ঝাড়গ্রাম শহরের বাছুরডোবা-স্টেশন পাড়া এলাকায় পথ চলতি এক ব্যবসায়ীকে পিস্তল দেখিয়ে তাঁর লক্ষাধিক টাকা ভর্তি ব্যাগ লুঠ করে চম্পট দিয়েছিল তিন যুবক। শহর ও লাগোয়া এলাকায় প্রকাশ্যে অপরাধমূলক ঘটনা ঘটায় উদ্বিগ্ন এলাকাবাসী। |