টেস্টে বিশ্বসেরার মুকুট চলে গেল ইংল্যান্ডের। এখন দক্ষিণ আফ্রিকাই টেস্টে বিশ্বের এক নম্বর দল। লর্ডসে শেষ দিন জয়ের জন্য ৩৪৬ তাড়া করতে গিয়ে ২৯৪ রানে অল আউট হয়ে গেল ইংল্যান্ড। জয়ের নায়ক পেসার ভার্নন ফিল্যান্ডার। ৩০ রানে পাঁচ উইকেট তুলে নিলেন তিনি। স্বভাবতই ফিলান্ডারই ম্যান অব দ্য ম্যাচ। তিন টেস্টের সিরিজ দক্ষিণ আফ্রিকা জিতল ২-০। জিতল বেসিল ডি’অলিভিয়েরা ট্রফিও।
আইসিসি-র তরফে ডেভ রিচার্ডসন যখন এক নম্বরের শিরোপা তুলে দিচ্ছেন গ্রেম স্মিথদের হাতে, দক্ষিণ আফ্রিকানদের গলায় চ্যারিয়টস অব ফায়ারের গান। তবে এই আনন্দের মাঝেও তাঁরা ভুলতে পারছিলেন না মার্ক বাউচারকে। স্মিথের জামায় সব সময় লেখা আছে ‘মিস ইউ বাউচ’। তিনি বলেছেন, “এটা বাউচারের ১৫০তম টেস্ট হতে পারত। ওকে মনে করাতে চাই, আমরা ওর কথা ভাবছি।”
নিজের একশোতম টেস্টটা অবশ্য ভুলতে চাইবেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক অ্যান্ড্রু স্ট্রস। গত দিনের ১৬-২ অবস্থায় শুরু করে আজ বেল আর টেলরকে হারিয়ে ৪৫-৪ হয়ে যায় ইংল্যান্ড। সেখান থেকে লড়াই করেন বেয়ারস্টো এবং ম্যাট প্রায়র। কিন্তু ৫৪ রানে বেয়ারস্টো আউট হওয়ার সময় ইংল্যান্ড হয়ে যায় ১৩৪-৫। এর পর একা ইংল্যান্ডের হয়ে লড়লেন প্রায়র (৭৩)। তিনি ইংল্যান্ডের হয়ে সিরিজ সেরা। |
শোকাহত লর্ডস ব্যালকনি। সোমবার। ছবি: এপি |
ম্যাচ শেষে প্রায়র বলেছেন, “এত কাছে এসে হেরে যেতে খারাপ লাগে। পাঁচ দিনই লর্ডসের উইকেট দারুণ ছিল। ব্রড, বেয়ারস্টো আর সোয়ান দারুণ লড়াই করেছে। তবে দক্ষিণ আফ্রিকাকে অভিনন্দন। ওরা গোটা সিরিজে দুর্দান্ত খেলেছে।” দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সিরিজ সেরা হাসিম আমলা। “আমাদের হাতে যথেষ্ট রান ছিল। টেস্ট ক্রিকেটের জন্য দিনটা দারুণ গেল। এখানে উইকেটও খুব ভাল। সিরিজটা দারুণ উপভোগ করলাম,” বলেছেন আমলা।
স্ট্রস আবার মনে করছেন, লর্ডসে আর একটু হলে জিততে পারত ইংল্যান্ড।
এক নম্বর র্যাঙ্কিং খোয়ানো দলের অধিনায়কের বক্তব্য, “দুর্ধর্ষ টেস্ট ম্যাচ হল। তবে যোগ্য দল হিসেবেই জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।” তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, ইংল্যান্ড কি আর এক নম্বর র্যাঙ্কিং ফিরে পাবে? স্ট্রসের উত্তর, “আমি তো মনে করি পাবে।” আবার দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক গ্রেম স্মিথ জানাচ্ছেন, এই টেস্টের প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করেছেন। “দুরন্ত টেস্ট হয়েছে। আমরাই এখন বিশ্বের এক নম্বর দল। ইংল্যান্ডকে ওদের মাটিতে হারানো সব সময় তৃপ্তিদায়ক”, বলেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক।
|
নতুন ক্রিকেট বিশ্ব |
১) দক্ষিণ আফ্রিকা (১২০)
২) ইংল্যান্ড (১১৭)
৩) অস্ট্রেলিয়া (১১৬)
৪) পাকিস্তান (১০৯)
|
|
৫) ভারত (১০৪)
৬) শ্রীলঙ্কা (৯৮)
৭) ওয়েস্ট ইন্ডিজ (৯০)
৮) নিউজিল্যান্ড (৮০)
৯) বাংলাদেশ (০) |
|