দূরে সরে-যাওয়া মানুষকে ফিরিয়ে আনতে দলীয় মুখপত্রকে বড় ভূমিকা নিতে হবে। সেই কাজে তাদের সব চেয়ে বড় হাতিয়ার মতাদর্শই। কাজ কঠিন। তবু এগোতেই হবে। রাজ্যের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দলীয় মুখপত্রগুলির জন্য কর্তব্যের কথাই বললেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। রাজ্যে ক্ষমতা হারানোর পরে সিপিএমের দলীয় মুখপত্রগুলি আর্থিক সঙ্কটের মধ্যে পড়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় তহবিল সংগ্রহের অভিযানও শুরু হয়েছে। সিপিএমের রাজ্য কমিটির সাপ্তাহিক মুখপত্রের ৫০ বছর পূর্তির অনুষ্ঠানে বৃহস্পতিবার বুদ্ধবাবু এই সূত্রেই সরকারি বিজ্ঞাপন ছাড়াই দলীয় মুখপত্রের লড়াই চালানোর কথা বলেছেন। ইউনিভার্সিটি ইনস্টিটিউট হলের অনুষ্ঠানে এ দিন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সরব হয়েছেন সরকারি বিজ্ঞাপন নীতির জন্য সার্বিক ভাবে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা ‘চ্যালেঞ্জে’র মুখে পড়া নিয়েও। |
মুখপত্রের সুবর্ণ জয়ন্তীর অবসরে রাজ্যে সংবাদমাধ্যমের অবস্থা বিশ্লেষণ করতে চেয়েছেন বুদ্ধবাবু। একই মঞ্চে লেনিনের কথা উদ্ধৃত করে সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য তথা রাজ্যসভার সাংসদ সীতারাম ইয়েচুরি বলেছেন, দলীয় মুখপত্রকে শুধু প্রচারক নয়, সংগঠকও হতে হবে। তাঁর মতে, টেলিভিশন এবং সাইবার দুনিয়ার সৌজন্যে দলীয় মুখপত্রের চ্যালেঞ্জ এখন অনেক বেড়েছে। সেই চ্যালেঞ্জের মোকাবিলার ডাকের পাশাপাশিই ইয়েচুরির বক্তব্য, “পশ্চিমবঙ্গের পার্টির শক্তির উপরেই গোটা দেশে বামপন্থী আন্দোলন দাঁড়িয়ে আছে। এই ধারা জারি রাখতে হবে।” পঞ্চাশ বছর পূর্তিতে এ দিনের অনুষ্ঠানেই রাজ্য সিপিএমের সাপ্তাহিক মুখপত্রের ওয়েবসাইট উদ্বোধন করেছেন বিমান বসু। |