|
|
|
|
শারদীয়ায় বাড়তি চিনি-সুজি দিতে চান মমতা, আর্জি কেন্দ্রকে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
ঈদে আসন্ন ঈদ-উল-ফিতর এবং শারদীয় উৎসবের সময় রেশনে গরিবদের জন্য বাড়তি সুজি ও চিনির ব্যবস্থা করতে চায় রাজ্য সরকার। এ রাজ্যে চিনির জোগান বাড়ানোর জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আর্জি জানানো হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার মহাকরণে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত টাস্ক ফোর্সের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। বৈঠকের পরে তিনি আশ্বাস দেন, সুজি ও চিনির জোগান বাড়বে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কেন্দ্র বিদেশে চিনি রফতানির অনুমতি দেওয়ায় বাজারে চিনির জোগান কিছুটা কমে গিয়েছিল। আমরা বিষয়টি কেন্দ্রের নজরে আনায় চিনির জোগান এখন একটু বেড়েছে। ঈদ ও শারদীয়া উৎসবে গরিবদের জন্য রেশনে বাড়তি চিনি ও সুজি দিতে চাই আমরা।” এ ব্যাপারে ফের কেন্দ্রের কাছে সাহায্য চাওয়া হচ্ছে বলে জানান মমতা।
মুখ্যমন্ত্রীর এ দিনের বৈঠকে শাকসব্জির দাম নিয়েও আলোচনা হয়। বিভিন্ন বাজারে আনাজপাতির দাম নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রয়েছে বলে টাস্ক ফোর্সের সদস্যেরা মমতাকে জানান। কলকাতার বিভিন্ন বাজারে আলু, পেঁয়াজ, পটল, ঝিঙে, লঙ্কা, ঢেঁড়স ইত্যাদি কী দামে বিকোচ্ছে, তার তুলনামূলক তালিকাও পেশ করা হয় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। কৃষি বিপণন মন্ত্রী অরূপ রায় পরে দাবি করেন, জ্যোতি আলু এখন ১৪ টাকা কিলোগ্রাম দরে পাওয়া যাচ্ছে। এই দাম অদূর ভবিষ্যতে আরও কমবে বলে তাঁর আশা। মন্ত্রীর এই দাবির সঙ্গে অবশ্য বাস্তবের অনেকটাই ফারাক রয়েছে। কৃষি বিপণন মন্ত্রীর দেওয়া সরকারি তালিকাতেই দেখা যাচ্ছে, লেক মার্কেটে জ্যোতি আলুর দাম ১৬ টাকা কেজি। গড়িয়াহাটে ১৫ টাকা। ওই সব বাজারে পেঁয়াজের দাম ঘোরাফেরা করছে ১৫ টাকা কিলোগ্রামের উপরেই। আর মাছের বাজারে দামের আগুন নেভার কোনও লক্ষণই নেই। |
|
|
|
|
|