এক মাস পর খুলতে চলেছে মানেসরের মারুতি কারখানা। তবে তার আগে আজ ৫০০ জন স্থায়ী কর্মীকে বরখাস্ত করলেন মারুতি কর্তৃপক্ষ।
১৮ জুলাই মারুতি কারখানায় মালিক এবং শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষে নিহত হন মানবসম্পদ বিভাগের কর্তা অবনীশকুমার দেব। জখম হন প্রায় ১০০। ২১ জুলাই নিরাপত্তার খাতিরে কারখানায় লক আউট ঘোষণা করেন কতৃর্পক্ষ।
আজ মারুতি সুজুকি ইন্ডিয়ার (এমএসআই) সিইও শিনজো নাকানিশিকে পাশে বসিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে সংস্থার চেয়ারম্যান আর সি ভার্গব বলেন, “আগামী ২১ অগস্ট, মঙ্গলবার থেকে প্রায় ৩০০ কর্মী কারখানায় ফের উৎপাদন শুরু করবেন। প্রত্যেক দিন তৈরি হবে প্রায় ১৫০টি গাড়ি।”
সেইসঙ্গে তিনি জানান ৫০০ জন কর্মীকে বরখাস্তের নোটিস পাঠানো হয়েছে। ওই ৫০০ জন হিংসাত্মক ঘটনায় জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ। হিংসায় জড়িত থাকার অভিযোগে চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োগ আরও ৫০০ কর্মীকে বরখাস্ত করার ব্যাপারেও চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মারুতি কর্তৃপক্ষ। |
এ দিনই হিংসাত্মক ঘটনার মূল অভিযুক্ত জিয়া লালকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শ্রমিকদের অভিযোগ, এই জিয়া লালের ‘জাত’ তুলে কথা বলেছিলেন মালিক পক্ষ। তার পরেই কারখানায় হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। তাই জিয়া লালের গ্রেফতারি এবং ৫০০ জনকে বরখাস্ত করার ঘটনায় ফের উত্তেজনা ছড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করছে কোনও কোনও মহল।
এই অবস্থায় কারখানা চালু হলে কর্মীদের নিরাপত্তার কী হবে? ভার্গব বলেন, “বিষয়টি আমাদের মাথায় রয়েছে। কারাখানার ভিতরে কর্মীদের নিরাপত্তা যেমন সুনিশ্চিত করা হবে, তেমন বাড়ি ফেরার সময়ও তাঁদের নিরাপত্তা দেওয়া হবে।” তিনি আরও জানান, ২ সেপ্টেম্বর থেকে নতুন করে স্থায়ী কর্মী নিয়োগ শুরু হবে। তখন চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োগ শ্রমিকদের কথাও
ভাবা হবে।
এই মুহূর্তে মারুতি কারখানা রয়েছে পুলিশের নিরাপত্তা বলয়ে। ১ অগস্ট পুলিশ শ্রমিক ইউনিয়নের ১০ পদাধিকারীকে গ্রেফতার করেছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ইউনিয়নের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকও। জিয়া লালকে নিয়ে এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মোট ১১৪ জনকে গ্রেফতার করা হল।
চলতি লক আউটের ফলে মারুতির প্রায় ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন মারুতি কর্তৃপক্ষ। গত বছরেও তিন বার শ্রমিক অসন্তোষের সাক্ষী থেকেছে মানেসরের মারুতি কারখানা। তার ফলে কারখানার ক্ষতি হয়েছিল প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা। |