প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী কে হবেন, তা নিয়ে এনডিএ-র মধ্যে কোনও বিভেদ নেই বলে দাবি করছেন বিজেপি সভাপতি নিতিন গডকড়ী।
২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি নরেন্দ্র মোদীকে প্রধানমন্ত্রিত্বের জন্য তুলে ধরবে, এমন সম্ভাবনার কথা শোনা যাচ্ছে বিভিন্ন মহল থেকেই। এনডিএ-র অন্যতম শরিক জেডিইউ নেতা তথা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার ইতিমধ্যেই এ ব্যাপারে তাঁর আপত্তি বিজেপিকে জানিয়েছেন। এনডিএ-র অন্দরে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নিয়ে যে মতান্তর তৈরি হয়েছে, সে কথা তার পর থেকেই প্রকাশ্যে আলোচিত হচ্ছে। গডকড়ী আজ সে সব নস্যাৎ করে বলেন, “আমি নীতীশকে বলেছি, তাঁর সঙ্গে আলোচনা না করে কোনও নাম চূড়ান্ত করা হবে না।” তাঁর দাবি, মোদী প্রসঙ্গে নীতীশের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘ কথাবার্তা হয়েছে। নীতীশের তরফে কোনও তীব্র আপত্তির কথা তাঁর জানা নেই। এমনকী নীতীশ যে আডবাণীকে প্রধানমন্ত্রী পদে দেখতে চান, সে কথাও স্বীকার করেননি গডকড়ী। তাঁর কথায়, “আমি এমন কিছু জানি না। নীতীশ আমাকে তাঁর পছন্দের কোনও নাম বলেননি।”
তার মানে কি ধরে নিতে হবে, মোদীই হতে যাচ্ছেন বিজেপির তাস? নীতীশ মেনে নিতে পারেন মোদীকে? গুজরাত নির্বাচনের পরেই কি মোদীকে এনডিএ-র জাতীয় প্রচারসমিতির মাথায় বসানো হবে? এক টিভি চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে গডকড়ী এমন কোনও সম্ভাবনার কথাও মানছেন না। তাঁর স্পষ্ট দাবি, বিজেপির মোট ৬ জন নেতা রয়েছেন, যাঁদের মধ্যে কেউ এক জন শরিকদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হবেন।
তাঁরা কারা? আডবাণী, নরেন্দ্র মোদী, রাজনাথ সিংহ, সুষমা স্বরাজ, অরুণ জেটলি এবং মুরলীমনোহর জোশী। আডবাণী নিজে অবশ্য সম্প্রতি তাঁর ব্লগে ভবিষ্যদ্বাণী করে বসে আছেন যে, ২০১৪-য় অকংগ্রেসি-অবিজেপি প্রধানমন্ত্রী হবে। তা নিয়ে যথেষ্ট জলঘোলাও হয়েছে। কংগ্রেস বলেছে, এই মন্তব্য প্রমাণ করে যে, বিজেপি আগে থেকেই নিজের হার স্বীকার করে নিচ্ছে। গডকড়ী কিন্তু আডবাণীকে সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রীর তালিকাতেই রাখছেন। সেই সঙ্গে বলে দিচ্ছেন, আডবাণীর ভবিষ্যদ্বাণী তিনি মানেন না। এটা দলের বক্তব্য নয়। |