রাজ্যের ‘সুপার স্পেশ্যালিটি’ হাসপাতাল এসএসকেএমে ‘বিশাল কন্যা’ সিদ্দিকা পরভিনের খাওয়া-শোয়ার যথাযথ বন্দোবস্ত হয়নি বলে আগেই অভিযোগ উঠেছিল।
এ বার পিজি-কর্তৃপক্ষ তাঁর মেয়ের চিকিৎসার খরচ বহন করতেও অস্বীকার করছে বলে অভিযোগ করলেন সিদ্দিকার বাবা আফতাবউদ্দিন আহমেদ। শুক্রবার তিনি জানান, দামি ওষুধ ও ইঞ্জেকশন সবই তাঁদের নিজেদের টাকা দিয়ে কিনে আনতে বলা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মেয়েকে বালুরঘাটের বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া ছাড়া তাঁদের আর কোনও উপায় নেই।
এসএসকেএম-কর্তৃপক্ষ অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। হাসপাতালের অধিকর্তা প্রদীপ মিত্র বলেন, “এমন কোনও সিদ্ধান্তের কথা আমরা জানাইনি। বাঙুর ইনস্টিটিউট অফ নিউরোলজিতে ভর্তি করে সিদ্দিকার পিটুইটারি গ্রন্থির টিউমারের অস্ত্রোপচার করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।” ওই টিউমারের জন্যই সিদ্দিকার বৃদ্ধি-হরমোনের অস্বাভাবিক নিঃসরণ হচ্ছে। তার ফলে ২৫ বছরের ওই তরুণীর উচ্চতা দাঁড়িয়েছে আট ফুট। হরমোনের চিকিৎসার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে সিদ্দিকাকে পিজি-তে ভর্তি করানো হয়।
কিন্তু বেশ কয়েক দিন ধরেই হাসপাতাল-কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নানা বিষয়ে মতান্তর চলছে সিদ্দিকার পরিবারের। ‘অস্বাভাবিক বড়’ শরীরের জন্য ওই তরুণীর বাড়তি খাবার লাগে। কিন্তু হাসপাতালে যে-খাবার দেওয়া হচ্ছে, তাতে তাঁর মেয়ের পেট ভরছে না বলে আফতাবউদ্দিনের অভিযোগ। শোয়ার জন্য সিদ্দিকাকে জোড়া খাট দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বাবার অভিযোগ, আট ফুটের মেয়েকে ছ’ফুটের খাটে কুঁকড়ে শুতে হচ্ছে। আধপেটা খেয়ে এবং না-ঘুমিয়ে মেয়ে আরও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। পরীক্ষানিরীক্ষাও হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছিলেন বাবা। সেই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন এসএসকেএম হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ।
ওষুধ কিনে আনার কথা বলা হয়েছে বলে অভিযোগ করে এ দিন আফতাবউদ্দিন বলেন, “মেয়ের চিকিৎসার জন্য মাসে একটি ইঞ্জেকশনের দাম বলা হয়েছে ৫৫ হাজার টাকা। ওই টাকা আমরা কোথা থেকে পাব? এই অবস্থায় মেয়েকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া ছাড়া কোনও উপায় নেই।” |