বিষ্ণুপুর-আরামবাগ রাজ্য সড়কে জয়পুর থেকে কোতুলপুর প্রায় ২০ কিলোমিটার রাস্তা বেহাল হয়ে পড়ায় এলাকার বাসিন্দা ও বাসযাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।
রাস্তা থেকে পিচ ও পাথর উঠে গিয়ে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। ফলে সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তার খানাখন্দ জল জমে ডোবায় পরিণত হচ্ছে বলে বাসিন্দাদের ক্ষোভ। তাঁদের অভিযোগ, এ কারণে পথ দুর্ঘটনা বেড়ে গিয়েছে। অন্য দিকে, গর্তে পড়ে বাস যাত্রীদের ভোগান্তিও বেশ বেড়ে গিয়েছে। তা ছাড়া খন্দ পথে গতি কমিয়ে চালক বাস চালানোয় যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছতেও দেরি হচ্ছে।
রাস্তা সংস্কারের দাবিতে ইতিমধ্যে সরব হয়েছেন ওই পথের গেলিয়া, চাতরা, গোগড়া ইত্যাদি গ্রামের বাসিন্দারা। তাঁদের ক্ষোভ, সবচেয়ে খারাপ অবস্থা চাতরা মোড়ের তেমাথা। সেখান থেকে ডানদিকের রাস্তাটি চাতরা কলেজ গিয়েছে। |
ফলে ওই মোড় এখন কার্যত একটি ডোবার চেহারা নিয়েছে বলে ক্ষোভ কলেজ পড়ুয়াদের। তাঁরা জানান, বর্ষার জল জমে বোঝার উপায় নেই, কোন গর্ত বড় আর কোনটা ছোট গর্ত। ফলে দুর্ঘটনাও ঘটছে। পোশাকও নষ্ট হচ্ছে। বিষ্ণুপুর-কোতুলপুরের এক বাসযাত্রী বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, “এই দশার জন্য এক ঘণ্টার পথ এখন বাসে দু’ঘণ্টাও লেগে যাচ্ছে।”
বাঁকুড়া জেলা বাস মালিক সমিতির সম্পাদক দীপক শুকুল বলেন, “প্রশাসন ও পূর্ত দফতরের আধিকারিকদের বারবার ওই রাস্তাটি সংস্কার করতে অনুরোধ জানিয়েছি। কিন্তু রাস্তা সংস্কার করা হয়নি।” তাঁর হুঁশিয়ারি, এ রকম চললে ওই রুটে বাস চালানো বন্ধ রাখতে বাধ্য হব।” পূর্ত দফতরের (সড়ক) বিষ্ণুপুরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়র সম্রাট গোস্বামী দাবি করেছেন, “ওই রাস্তা সংস্কারের জন্য ইতিমধ্যেই খানাখন্দে বোল্ডার ফেলা শুরু হয়েছে। শীঘ্রই পুরোমাত্রায় মেরামতির কাজ শুরু করা হবে।” |