|
|
|
|
|
ভুল ভাঙানিয়া |
এই চলতি বিশ্বাসভাজনদের খাবার হজমে ওস্তাদ মানেন? সাবধান, সবই রটনা। |
খাবার পর চা, কফি |
|
খেয়ে উঠে ঘুম ঘুম পেলেই অনেকে এক পেয়ালা চা বা কফি নিয়ে বসে পড়েন। বলেন, এতে নাকি পরিপাকটাও ভালই হয়। আজ্ঞে, না। খাবারে যদি নন হিম আয়রন (এই খনিজটি উদ্ভিজ্জ খাবারে মেলে) থাকে, তা হলেই চিত্তির। চায়ের ট্যানিন এর সঙ্গ পেলেই রাসায়নিক যৌগ গঠন করে। সেটা পরিপাকক্রিয়াকে কাজ করতে দেয় না। তাই খাবার খেয়ে, আগে দুই ঘণ্টা কাটিয়ে নিন। তার পর চায়ের কাপে তুফান তুলুন।
ডা. শান্তনু নন্দী বললেন, খাবার পর দুই ঘণ্টা যেমন কিচ্ছু খাবেন না, তেমনি দু’টো মিলের মধ্যে চার ঘণ্টার বেশি ফাঁক রাখাও ঠিক নয়।
|
খেয়ে উঠে হাঁটাচলা |
ভরা পেটে হালকা পায়চারি করলে বিপাকযন্ত্র চাঙ্গা থাকে। ফলে হজম ভাল হয়। মেদ ঝরাতেও সুবিধা হয়। তবে খেয়ে উঠেই দৌড়োদৌড়ি শুরু করবেন না যেন। আগে আধ ঘণ্টা বিশ্রাম করুন। কিন্তু তার পর হাই উঠলেও বালিশ টানবেন না। এই বেলা একটু হেঁটে আসুন। ফিরে এলে ঘুমটাও ফার্স্টক্লাস হবে।
|
ভরা পেটে ফল |
বড়রা খালি পেটে ফল খেতে বারণ করেন। তেমনি খেয়ে উঠেই ফলের ঝুড়ি নিয়ে বসলেও ঝামেলা আছে। কারণ, কিছু ফলে কিছু বিশেষ ধরনের উপাদান, উৎসেচক ইত্যাদি থাকে। সেগুলো খাবারে থাকা উপাদানগুলোর সঙ্গে রসায়নের খেলা দেখাতেই পারে। তার থেকেই বদহজম, পেটের অসুখ, এ সব হওয়ার ভাল রকম সম্ভাবনা রয়েছে। খাওয়ার দুই ঘণ্টা আগে বা পরে ফল খান। তাতে হজমের সমস্যাও এড়ানো যাবে, রক্তে চিনির পরিমাণটাও লাগামের মধ্যেই থাকবে। |
ঠান্ডা জল |
অনেকে ভাবেন, ঠান্ডা জল পেটের মধ্যে গিয়েই খাবারগুলোকে জমিয়ে দেয়। ভয় পান, খাবারের তেল জমাট বাঁধলে ক্যান্সারও হবে। ভুল করছেন। শরীরের বাইরের আর ভেতরের তাপমাত্রাটা আলাদা। ঠান্ডা গরম যা-ই খান, দেহের ভেতর ঢুকলেই সেটা ভেতরের তাপমাত্রায় অভ্যস্ত হয়ে যাবে। তবে খেতে খেতে বা খেয়ে উঠেই ঢকাঢক জল খাবেন না। খাবার আধ ঘণ্টা পর যত খুশি ফ্রিজের জল খান। হজমের কিস্সু যাবে আসবে না। শুধু জ্বর-টর বাধাবেন না যেন। |
|
|
|
|
|