সঙ্গীত সমালোচনা...
রেশ রয়ে যায়
সম্প্রতি রবীন্দ্রসদনে সুরালোক আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুরুতেই রাজেশ্বর ভট্টাচার্য এবং তাঁর ছাত্রীরা শোনালেন বেশ কয়েকটি রবীন্দ্রসঙ্গীত। ‘যেতে যেতে একলা পথে’, ‘কৃষ্ণকলি’ প্রভৃতি গানগুলি। রবীন্দ্রসঙ্গীতের বেশ কয়েকটি গানের সুর গিটারে শোনালেন বিশিষ্ট চিকিৎসক শিবাজি বসু। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, ‘তোমায় নতুন করে পাবো বলে’, ‘ছিন্ন পাতায় সাজায় তরণী’। পরে লোপামুদ্রা অনেকগুলি রবীন্দ্রসঙ্গীত শোনালেন পর পর। শ্রোতারা সত্যিই মুগ্ধ তাঁর কণ্ঠে ‘তাই তোমার আনন্দ আমার পর’ গানটি শুনে। এ ছাড়াও ছিল নৃত্যনাট্য ‘চণ্ডালিকা’। গানে ছিলেন অপালা বসু (প্রকৃতি), মাধবী দত্ত (মা), অলোক রায়চৌধুরী (আনন্দ)। নৃত্যে ছিলেন রুবেনা চট্টোপাধ্যায়, রূপালি দাস কুণ্ডু, বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়। সমগ্র অনুষ্ঠানটির পরিচালনায় ছিলেন অপালা বসু।

প্রকৃত শিক্ষা
সম্প্রতি রবীন্দ্রসদনে এক অনুষ্ঠানে নজরুলগীতি পরিবেশন করলেন কাকলি দেব। সুরেলা কণ্ঠস্বর এবং চর্চিত গলায় গান গেয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ইতিমধ্যেই তিনি বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন। এ দিন নজরুলের অসংখ্য গান থেকে কিছু বাছাই করা গান কাকলি শোনালেন যা শ্রোতাদের নজর কাড়ে। ‘মোর ঘুম’, ‘গোঠের রাখাল’ প্রভৃতি গানগুলি তাঁর কণ্ঠে এক অন্য মাত্রা এনে দেয়। বিমান মুখোপাধ্যায়ের ছাত্রী কাকলি। প্রতিটি গানের ক্ষেত্রে তাই সেই শিক্ষার ছাপ ফুটে ওঠে। কাকলির গানের সঙ্গে সিন্থেসাইজারে ছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তবলায় দিব্যেন্দু মুখোপাধ্যায় শ্রোতাদের প্রশংসা আদায় করে নিলেন।

তাঁকে মনে রেখে
সম্প্রতি উত্তম মঞ্চে দেবু চৌধুরীর সেতার বাদক শ্রোতাদের মুগ্ধ করে। এই বছর উস্তাদ মুস্তাক আলি খানের ১০১ বছর পূর্তিতে এই সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়েছিল। তাঁরই শিষ্য এ দিন নির্বাচন করেছিলেন সেনিয়া ঘরানারই বিভিন্ন রাগ। এ দিন শিল্পীর লেখা একটি বইও প্রকাশিত হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অনেকেই। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন কুমার বসু, সুরেশ তালওয়ালকার, উলহাস কাসলকর ও জ্যোতি গোহো। অনুষ্ঠানটির আয়োজক ‘উমাক সেন্টার ফর কালচার’।

নাড়ির টান
‘দুই বাংলার পুত্র কন্যা, সৌমিত্র ও বন্যা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানটি হয়ে গেল উত্তম মঞ্চে। অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, রণজয়ব্রত রায়, মধুমিতা বসু ও অসীম ভট্টাচার্য। রেজওয়ানার প্রতিটি গানই ছিল সুনির্বাচিত। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের কথা ও পাঠে এক অন্য অনুভূতি ফুটে ওঠে। অনুষ্ঠানে নজর কাড়লেন রণজয়ব্রত রায়। তিনি তাঁর কণ্ঠে যে রবীন্দ্রসঙ্গীতগুলি শোনালেন তা শ্রোতাদের ভূয়সী প্রশংসা আদায় করে নেয়। ‘চোখের আলোয়’, ‘আমার হৃদয় তোমার’, ‘তুমি কোন ভাঙনের পথে’। মধুমিতা বসুর কিছু সংলাপে ধরা পড়ে দুই বাংলার নাড়ির টান এখনও কত গভীরে। অনুষ্ঠানটির পরিচালনায় ছিলেন অসীম ভট্টাচার্য। আয়োজক ‘সঙ্গীতাশ্রম’।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.